শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

ঘুরে বেড়াচ্ছেন ১২শ প্রবাসী, আতঙ্কে থানায় ফোন করছেন এলাকাবাসী

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ২৩ মার্চ, ২০২০
  • ১৯৭
ঘুরে বেড়াচ্ছেন ১২শ প্রবাসী

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় ১২শ মানুষ বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরেছেন। কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা বলা হলেও তাদের অবাধ বিচরণে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আতঙ্কে তারা থানায় ফোন করলেও থানা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে জানাতে বলা হচ্ছে। আর তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করা হবে বলেই দায় সারছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

জানা গেছে, ভাইরাসের সংক্রমণের পর উপজেলার বাঁকড়া এলাকায় অনেক নাগরিক ইতালি, মালয়েশিয়া, বাহরাইনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বাড়ি এসেছেন। কিন্তু তারা সরকারি কোনো আইন না মেনে অবাধে হাট-বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। পুলিশে খবর দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, বাঁকড়া বাজারে ইতালি ও মালেয়শিয়া ফেরতদের দেখে থানায় ফোন করলে তারা ঝিকরগাছা স্বাস্থ্য বিভাগে জানানোর কথা বলেছে।

এদিকে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসক প্রত্যেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার সদস্য, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান ও তাদের সদস্যসহ দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের নিয়ে জরুরি সভা করেছেন। প্রত্যেক উপজেলায় প্রশাসনিক কর্মকতা ও প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের অধীনে একটি করে কমিটি গঠন করা হবে। তাদের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

তিনি বলেন, গোটা উপজেলায় মোট ১২শ বিদেশফেরত মানুষ রয়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের তালিকা করবেন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের অফিসে জমা দেবেন। এই তালিকা পাওয়ার পর আমরা ব্যবস্থা নেব। সবাইকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। এটা আমাদের ১৫ দিনের একটা চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জে আমাদের সকল নাগরিককে সহযোগিতা করতে হবে। এই চ্যালেঞ্জে ও সকলের সচেতনতায় হয়ত দেশ অনেক বড় ঝুঁকি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT