চাঁদা না পেয়ে সড়ক নির্মাণ বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন

আসাদুজ্জামান
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
  • ২১৬
রমজাননগর ইউনিয়ন আ. লীগের সম্পাদকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ!

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে ঠিকাদারের কাছ থেকে চাঁদা না পেয়ে সড়ক নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেয়ায় কাজটি সুষ্টভাবে বাস্তবায়ন করতে ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের দাবীতে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্টান মেসার্স রাকা এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী তপন চক্রবর্তী রবিবার সকালে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর (এলজিইডির) নির্বাহী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন দপ্তরে এই আবেদন করেছেন।

তিনি তার লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেছেন, তিনি আশাশুনি উপজেলার গদাইপুর ব্রীজ-হেতালবুনিয়া মৌলভী আব্দুল লতিফ কলেজ সড়কের নতুন নির্মাণ কাজ করছিলেন। এমতাবস্থায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহানেওয়াজ ডালিমের ভাই আব্দুস সালাম বাচ্চু পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে কাজে নিয়োজিত পাঁচজন শ্রমিককে বেধড়ক পিটিয়ে চলমান কাজ সম্প্রতি বন্ধ করে দেন। এ ঘটনায় তার প্রতিষ্টানের ম্যানেজার উদয় চক্রবর্তী বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় ৫ জনের নামে একটি মামলা করেন। যার মামলা নং-১৫,তারিখ ১৬-৯-১৯ইং।

এ মামলার ১ নং আসামী আব্দুস সালাম বাচ্চুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরন করেছেন। এরপর স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহানেওয়াজ ডালিম তার লোকজন নিয়ে চলমান কাজ গত শনিবার সকালে তা আবারও বন্ধ করে দেন। তিনি আরো উল্লেখ করেছেন, যে কারণে কাজ বাস্তবায়নে তার বিলম্ব হচ্ছে। যে শ্রমিকরা সড়ক নির্মান কাজে যাচ্ছেন তাদেরকে এখনও মারপিট করারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন।

ঠিকাদার তপন চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহানেওয়াজ ডালিমের ভাই আব্দুস সালাম বাচ্চুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা করায় এবং পুলিশ তাকে গ্রেফতার করায় চেয়ারম্যান ডালিম নিজেই তার লোকজন দিয়ে সড়ক নির্মানের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি আরো জানান, মামলা তুলে না নিলে চেয়ারম্যান তার হাত পা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়ারও হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান শাহানেওয়াজ ডালিম জানান, তার ভাই বাচ্চু ওই সড়কে কোন চাঁদাবাজি করেননি। সে ওই সড়কের সমস্ত বালি সরবরাহ করেছেন। তার বালির মুল্য হয়েছে ৮ লক্ষাধিক টাকা। ঠিকাদার তপন সেখান থেকে সমস্ত বিল তুলে নিলেও আমার ভাইকে দিয়েছেন মাত্র ৫ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। এ নিয়ে আমি নিজেও কয়েকবার শালিস করেছি। অথচ, আমার ভাইকে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় জেল খাটানো হচ্ছে।

কাজ বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, কাজ তিনি বন্ধ করেননি। উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি জনৈক জগদিশ বালির টাকা পরিশোধ করার পর তাকে কাজ করার কথা বলেছেন।

উল্লেখ্য, গত সোমবার দুপুরে সড়ক নির্মানের সময় নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়ে ৫ শ্রমিককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন বাচ্চুসহ তার বাহিনীর ৫ সদস্য।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT