ধরুন, কোনো এক অফিসে গিয়েছেন আপনি। আপনাকে অভ্যর্থনা জানানো হলো। তবে কোনো মানুষ নয়, কাজটি করল কালোমুখো একটি বিড়াল। যেই সেই বিড়াল নয়, রীতিমতো গলায় আইডি কার্ড (পরিচয়পত্র) ঝুলানো সে। এমন কিছু হলে নিশ্চয়ই অবাক হবেন আপনি।
তবে অবাক করা হলেও সত্যিই এমন দৃশ্য দেখতে পাবেন ব্রাজিলে গেলে। সেখানকার বার অ্যাসোসিয়েশনে কাজ করছে একটি বিড়াল। অর্ডার অব অ্যাটর্নি অব ব্রাজিলে চাকরি করছে সে!
ঘটনার শুরু গত ফেব্রুয়ারিতে। ঝড়ের কবলে পড়ে আশ্রয় খুঁজতে খুঁজতে ব্রাজিলের আমপা প্রদেশের বার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে হাজির হয় ছোট্ট বিড়ালটি। তার এই দুর্দশা দেখে ভবনের কর্মীদের মায়া হয়। আর তাই তাকে সযত্নে আশ্রয় দেওয়া হয় সেখানে।
সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। ঝামেলা হয় সপ্তাহখানেক পর। বারের কয়েকজন কর্মী বিড়ালটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, বার অ্যাসোসিয়েশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি ভবনে বিড়ালকে আশ্রয় দেওয়া ঠিক হচ্ছে না। শুরু হয় নানা আলোচনা। সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি।
বিড়াল
উদ্ভট এক কাজ করে বসেন তিনি। কেউ যেন বিড়ালটিকে আর আশ্রিত বলতে না পারে তাই তাকে ভবনের কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেন সভাপতি। বিড়ালটি নামও দেওয়া হয় ড. লিওন। নিজের কাজ পেয়ে বেশ খুশি বিড়ালটি। এখন যে কেউ ভবনে গেলেই দেখতে পাবেন গলায় টাই আর আইডি কার্ড ঝুলিয়ে বসে আছে লিওন। স্বাগত জানাচ্ছেন দর্শনার্থীদের।
বর্তমানে সবার প্রিয় সে। এমনকি যারা আশ্রয় পাওয়া বিড়ালটি পছন্দ করতো না, তারাও এখন তার সঙ্গে হাসি ঠাট্টায় মেতে উঠছে। সবার আদরে বেশ আনন্দেই আছে লিওন।
কেবল কী এই চাকরি? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সেলিব্রেটি বনে গেছে লিওন। ইনস্টাগ্রামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তার। আর সেখানে লিওনের ফলোয়ার রয়েছেন ৬৮ হাজারেরও বেশি।
Leave a Reply