সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌর সদরের শেখ আমানুল্লাহ কলেজ সংলগ্ন অনিবন্ধিত শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ইসমাইল হোসেন চিকিৎসার নামে কলারোয়ার নিরীহ জনসাধারণের কাছ থেকে লুটে নিচ্ছেন বিশাল অংকের টাকা। উপজেলাব্যাপি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কলারোয়া শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের দালাল। তারা সহজলভ্য চিকিৎসাসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে চিকিৎসা সেবাপ্রার্থীদের ডেকে আনছে শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে। আর এই সুযোগে চিকিৎসার নামে ডা. ইসমাইল হোসেন রোগীদের থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ ডা. ইসমাইল হোসেন চিকিৎসা সেবাকে বাণিজ্যে পরিণত করেছেন। তিনি অতি সাধারণ ফোড়া বা পেটে ব্যথার মতো সাধারণ রোগীকে তিনি সার্জারি করছেন।
সম্প্রতি তিনি হাজিরা নামের এক কিশোরীর পিত্তথলিতে পাথর আছে বলে অস্ত্রপচার করে পিত্তথলি কেটে ফেলেছেন। অথচ তিনি সার্জারির পরে রোগীর আত্মীয় স্বজনদের কোন পাথর দেখাতে পারেন নি।
ডা. ইসমাইল হোসেন, ২০১০ সালে প্রথম ক্লিনিক স্থাপন করেন লোহাকুড়া গ্রামে। সেখানে রোগীদের সাথে গলাকাটা ফি আদায় ও বিভিন্নভাবে রোগ নিয়ে প্রতারণা করায় বিতাড়িত হন লোহাকুড়া গ্রাম থেকে।
পরবর্তীতে, ২০১৫ সালে ক্লিনিক স্থাপন করেন আমানুল্লাহ কলেজের সামনে নাম দেন শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল অথচ এই ক্লিনিকে ফোড়া থেকে শুরু করে ক্যান্সার পর্যন্ত সকল রোগের চিকিৎসা করেন। নিবন্ধনহীন এই ক্লিনিক গত পাঁচ বছর ধরে তিনি কোন কাগজ করেননি। গত ২২শে আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনলাইনে আবেদন করেছেন মাত্র, এটাকে তিনি ক্লিনিকের লাইসেন্স বলে দাবি করেন।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply