শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

চীন থেকে পণ্য আসা শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০২০
  • ২০৬
চীন থেকে পণ্য আসা শুরু

ভোগ্যপণ্যের মধ্যে চীন থেকে আমদানি হয় মূলত আদা ও রসুন। সংকটের সময় আসে আরেক ভোগ্যপণ্য পেঁয়াজ। করোনাভাইরাসের কারণে আমদানিতে সংকটের সৃষ্টি হবে—অজুহাতে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকেই এ তিনটি পণ্যের দাম পাইকারিতে বেড়েছিল কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। তিন সপ্তাহ ধরে এ অবস্থা চলার পর শেষ সপ্তাহে এসে এই তিন পণ্যের দাম কমে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

ভোগ্যপণ্য ছাড়াও চীন থেকে আসে বিপুল পরিমাণ আপেল, কমলা, জাম্বুরা, নাশপাতিসহ অন্যান্য ফল। এসব ফল আমদানিতে সরবরাহ সংকটের সৃষ্টি হয়নি, তাই বাজারে দামও বাড়েনি। তবে চীন থেকে আসা সব ধরনের ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক পণ্যের দাম বেড়েছে।

নভেল করোনাভাইরাসের আতঙ্ক কাটিয়ে ওঠার পর চালু হয়েছে চীনের বেশির ভাগ সমুদ্রবন্দর। পণ্য উৎপাদনকারী বেশির ভাগ কারখানাও সচল হয়েছে, যদিও সব কারখানায় এখনো পুরোদমে উৎপাদন শুরু হয়নি। এরই মধ্যে চীন থেকে তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল, ক্যাপিটাল মেশিনারিজ এবং বিভিন্ন শিল্পপণ্য ও ভোগ্যপণ্যভর্তি জাহাজ দেশে আসতে শুরু করেছে। চীনের বন্দর চালু হওয়ার পর প্রথম জাহাজটি পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে ভিড়ছে আজ মঙ্গলবার।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চীনের সমুদ্রবন্দরগুলো চালু হওয়ার পর ১৭ ফেব্রুয়ারি সাংহাই বন্দর থেকে কনটেইনারে পণ্যভর্তি ‘কেপ ওরিয়েন্ট’ জাহাজ রওনা দিয়েছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়। জাহাজটি আজ বন্দর জেটিতে ভিড়ছে। এ জাহাজে তৈরি পোশাক শিল্পের বিভিন্ন ধরনের কাপড়, ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ও রাসায়নিক পণ্য আছে।

জাহাজটির শিপিং এজেন্ট হুন্দাই মার্চেন্ট মেরিন কম্পানির এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে এ জাহাজে আমরা এক হাজার ৫০০ থেকে এক হাজার ৬০০ একক কনটেইনারভর্তি পণ্য পরিবহন করি, এখন এসেছে এক হাজার ১০০ একক কনটেইনার। আশা করছি ধীরে ধীরে কনটেইনার পরিবহন আগের অবস্থায় পৌঁছবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের পাঁচটি কনটেইনার জাহাজ চীনের সাংহাই ও নিমবো বন্দর থেকে চট্টগ্রামে পণ্য পরিবহন করে থাকে। এর মধ্যে তিনটি জাহাজই পণ্য নিয়ে রওনা দিয়েছে, বাকি দুটি জাহাজও এ সপ্তাহেই রওনা দেবে।’

বিজিএমইএ পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘চীনের বন্দরগুলোতে পণ্য জাহাজীকরণ শুরু হওয়া আমাদের জন্য স্বস্তির। তবে সেখানকার কারখানাগুলো শতভাগ চালু না হওয়ায় আমাদের পণ্য সরবরাহের নির্দিষ্ট সময় জানতে পারছি না। ফলে কারখানা সচল রাখতে আমাকে কর্মঘণ্টা কমিয়ে আনতে হচ্ছে।’

চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সে দেশ থেকে আমদানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে—এমন আশঙ্কা তৈরি হয়। এ অবস্থায় ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। এর মধ্যে চট্টগ্রামভিত্তিক পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি রসুনের দাম ১৩০ টাকা থেকে বেড়ে ১৭০ টাকা, আদা ৯০ টাকা থেকে ১১০ টাকায় অর্থাৎ প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়ে। কিন্তু গতকাল রবিবার খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে এসব পণ্য আগের চেয়ে কমে বিক্রি হয়েছে। চীন থেকে আনা আদা বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৮৫ টাকা ও রসুন ১৩৫ টাকা। চীনে করোনার প্রাদুর্ভাবের আগে এ দামেই ভোগ্যপণ্য দুটি বিক্রি হতো।

অবশ্য খুচরা বাজারে এখনো প্রতি কেজি রসুন ২১৫ টাকা ও আদা ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আদা-রসুনের দাম কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জ কাঁচাপণ্য আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস কালের কণ্ঠকে বলেন, ব্যবসায়ীদের ধারণা ছিল করোনাভাইরাসের কারণে সরবরাহ সংকটের সৃষ্টি হবে। কিন্তু ফেব্রুয়ারির শেষ দিন পর্যন্ত বন্দর থেকে ওই দুটি পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল। ফলে বাজার কিছুদিন অস্থির থাকলেও এখন আগের চেয়েও কম দামে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আমদানি করা রসুনের ৯৭ শতাংশই আসে চীন থেকে। দেশে প্রতি মাসে গড়ে সাড়ে পাঁচ হাজার টন রসুন আমদানি করা হয়, সেখানে গত ডিসেম্বরে ১০ হাজার ৫৮২ টন ও জানুয়ারিতে ১১ হাজার ৬৭৭ টন আমদানি হয়েছে। অর্থাৎ দ্বিগুণের মতো আমদানি হয়েছে। এ ছাড়া রসুনের দেশীয় ফলন বাজারে উঠতে শুরু করেছে।

সরবরাহ সংকট হলেই ভারতের বিকল্প হিসেবে চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়ে থাকে। ফেব্রুয়ারিজুড়ে সেই পেঁয়াজ অনেকটা চড়া থাকার পর এখন দাম কমে এসেছে। গতকাল খাতুনগঞ্জে আড়তে মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি ৫৫ টাকা, তুরস্ক ও পাকিস্তানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি ৫০ টাকায়। আর চীনের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT