বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বুয়েটের উপাচার্য। এমন সিদ্ধান্তে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট।
শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন জোটের সমন্বয়ক আল কাদেরী জয়।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সব ধরনের সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ভয়ঙ্কর অগণতান্ত্রিক বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা মনে করি এটি একটি ভয়ঙ্কর অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত এবং সব ধরনের বিরোধী মত ও তার ভিত্তিতে সংগঠিত শক্তিকে দমনের একটি হাতিয়ার।
আল কাদেরি জয় বলেন, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে। কার্যত বুয়েট চলে ’৬১ এর অধ্যাদেশে, সে অনুযায়ী ইতোমধ্যে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ। গত এক দশক ধরে বুয়েটে কোনো ছাত্ররাজনীতি ছিল না। শুধু ছিল রাজনীতির নামে ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আর নির্যাতন। বিরোধী কোনো ছাত্র সংগঠনই ক্যাম্পাসে কাজ করতে গেলে নির্মমভাবে তাদের দমন করা হয়েছে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলন থেকে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের প্রতিবাদে শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় টিএসসি থেকে বুয়েট পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র-ফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানা, বিপ্লবী ছাত্র-মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবীর, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স প্রমুখ।
Leave a Reply