খুলনার পাইকগাছার রাড়ুলিতে দিনে-দুপুরে দাদিকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছে নাতি ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে অতি সহজে দাদি নুরজাহানকে খুন করার কথা স্বীকার করে সে। তার মা ফতেমা বেগমও ছেলের খুন করার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।
এর আগে গত সোমবার দুপুরে দাদি রান্না ঘরে রান্না করছিল। পাশের বাড়ি থেকে দা চেয়ে এনে ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ ডাব কাটছিল আকস্মিক সে রান্না ঘরে ঢুকে দাদির গলায় কোপ বসিয়ে দেয়। সেখানেই দাদি নুরজাহানের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওসি এজাজ শফী ও ওসি তদন্ত ঘটনা স্থলে যান বিস্তারিত জেনে শুনে ইব্রাহিম, তার মা ফতেমা ও বাবাকে থানায় নিয়ে আসেন। এঘটনায় নিহতের মেয়ে বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছে।
খুনের বিষয়ে খুনীর মা ফতেমা বেগমও স্বীকার করে পুলিশকে বলেন, আমার ছেলে আমার শ্বাশুড়িকে হত্যা করেছে। খুন করার সময় ভয়ে তার কাছে আমি যেতে পারিনি। আমার ছেলে খুন করে অন্যায় করেছে।
ওসি এজাজ শফী জানান, ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে রাড়ুলীর শ্রীকান্ঠুপুরের বৃদ্ধা নুরজাহানকে তার নাতি ঠান্ডা মাথায় খুন করেছে বলে স্বীকার করেছে। তার মা ফতেমা বেগম ছেলে তার দাদীকে খুন করেছে বলেও জবানবন্দীতে জানিয়েছে।
পুলিশ মঙ্গলবার ফতেমা বেগম ও ছেলে ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ-কে আদালতে প্রেরণ করলে, বিজ্ঞ আদালত শুনানিন্তে তাদের জেল-হাজতে প্রেরণ করেন।
Leave a Reply