অতিবর্ষণে ডুবে গেছে সাতক্ষীরার নিন্মাঞ্চল। ভরাট হয়ে যাওয়া নদী খাল ও নালাগুলির পানি প্রবাহ সচল না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বিস্তীর্ন অঞ্চল জুড়ে। এ ছাড়া অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ করতে ইচ্ছা মতো বেড়ি বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ আটকে রাখায় পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারন করেছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের মাগুরা, দাসপাড়া, ঈদগাহ এলাকা, কৈখালি ও খেজুরডাঙ্গি গ্রামের পাঁচ হাজার পরিবারের বাড়িঘর ফসলী ক্ষেত এখন পানির নিচে। তাদের বাড়িতে বাড়িতে পানি। পানির কারণে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। জেলা প্রশাসন পানি নিষ্কাশনের জন্য পরিকল্পনা হাতে নিলেও এখনও তা সুফল দেয়নি। ফলে প্রতিদিনের বৃষ্টির সাথে সাথে পানির মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় জনজীবন আরও বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে।
পানি অপসারণের দাবিতে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকালে শহরতলির মাগুরা পশ্চিমপাড়া মসজিদের পাশে সড়ক ধারে শত শত মানুষ সমবেত হয়ে এক প্রতিবাদী মানববন্ধনে অংশ নেন। জেলা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ আহুত এই মানব বন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ডা. শহিদুল ইসলাম। এতে দ্রুত পানি অপসারন করে জনগনের ভোগান্তি দুরীকরণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন নাগরিক মঞ্চ সভাপতি অ্যাডভোকেট ফাহিমুল হক কিসলু,অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, মো. ইকবাল লোদী , ডা. ইউসুফ আলি, ফসিয়ার রহমান, আফসার আলি, মুনজি খাতুন প্রমূখ।
এক সপ্তাহের আলটিমেটাম দিয়ে তারা বলেন এর মধ্যে খাল নদী থেকে নেট পাটা তুলে দিয়ে অবৈধ বেড়ি বাঁধ কেটে দিতে হবে। অবিলম্বে পানি নিষ্কাশন না করা হলে জনগন বৈধ ও অবৈধ বেড়ি বাঁধ কেটে দিতে বাধ্য হবে।
Leave a Reply