প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন। এদিনের ভাষণে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বিশ্বনেতাদের সামনে চার প্রস্তাব তুলে ধরবেন তিনি। জাতিসংঘ সদর দফতরে মঙ্গলবার ওআইসি এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ওই চার প্রস্তাবের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
‘রোহিঙ্গা ক্রাইসিস: এ ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক ওই বৈঠকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের অবশ্যই মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে বাংলাদেশ পাঁচটি প্রস্তাব দিয়েছিল। এতে কফি আনান কমিশনের সুপারিশের পূর্ণ বাস্তবায়ন, রাখাইন রাজ্যে ‘বেসামরিক পর্যবেক্ষকসহ সেফ জোন’ প্রতিষ্ঠার মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। এবারও বাংলাদেশ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে চার প্রস্তাব তুলে ধরবে। প্রস্তাবগুলো হচ্ছে:
০১. রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপের গ্রহণের মাধ্যমে মিয়ানমারকে তার রাজনৈতিক সদিচ্ছা স্পষ্ট করতে হবে।
০২. বৈষম্যমূলক আইন ও রীতি বাতিল করে রোহিঙ্গাদের মধ্যে মিয়ানমারের প্রতি আস্থা তৈরি করতে হবে। রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের উত্তর রাখাইন সফরের ব্যবস্থা করতে হবে।
০৩. রাখাইন রাজ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেসামরিক পর্যবেক্ষক মোতায়েন করে মিয়ানমারকে অবশ্যই অন্যদের মতো রোহিঙ্গাদেরও নিরাপত্তা ও সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
০৪. আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলো বিবেচনায় নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সূত্র: বাসস।
Leave a Reply