শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

জানুয়ারিতে প্রতিদিন সড়কে ১৮ জনের মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
  • ১৯২
নভেম্বরে ৪৪৩ দুর্ঘটনায় সড়কে ঝরল ৪৮৬ প্রাণ
প্রতিকী ছবি।

চলতি বছরের প্রথম মাসে (জানুয়ারি) সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ১৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

তাদের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে সারাদেশে ৫৩১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৪৭ জন নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১১৪১ জন। এ দিকে একই মাসে রেলপথে ৪৩টি দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ১৭টি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও আহত হয়েছেন ৫৮ জন, নিখোঁজ রয়েছেন ৩০ জন।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়। সংগঠনটির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনসমূহ বিশ্লেষণ করে এ তথ্য প্রকাশ করেছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জানুয়ারি মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত পথচারী ১৬১ জন, চালক ১৯১ জন, পরিবহন শ্রমিক ৯১ জন, শিক্ষার্থী ১৪৬ জন, শিক্ষক ১০ জন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ১২ জন, নারী ১৩৯ জন, শিশু ৫৫ জন, সাংবাদিক ২ জন, চিকিৎসক ৫ জন, প্রকৌশলী ১ জন, মুক্তিযোদ্ধা ১ জন এবং ১২ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।

এরমধ্যে সড়কে নিহত হয়েছেন ১৪০ জন চালক, ১৩৭ জন পথচারী, ৮২ জন নারী, ৬৮ জন ছাত্র-ছাত্রী, ৪৩ জন পরিবহন শ্রমিক, ৩৭ জন শিশু, ৯ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ৭ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৪ জন চিকিৎসক, ১ জন মুক্তিযোদ্ধা, ৭ জন শিক্ষক ও ১ জন প্রকৌশলী।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে- ১৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ বাস, ২৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান, ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস, ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ২০ দশমিক ৩১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ১২ দশমিক ২১ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর-লেগুনা। দুর্ঘটনায় ৫৯ দশমিক ১৩ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও ১৮ দশমিক ০৭ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৭ দশমিক ৭০ শতাংশ খাদে পড়ে, ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ বিবিধ কারণে, দশমিক ৭৫ শতাংশ চাকায় ওড়না পেছিয়ে এবং দশমিক ৯৪ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

গেল বছরের ডিসেম্বর মাসের তুলনায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনার হার ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ, ২ দশমিক ০৫ শতাংশ নিহতের হার বৃদ্ধি পেলেও আহত হওয়ার ঘটনা ৭ দশমিক ০১ শতাংশ কমেছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যানের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের তুলনায় বিগত জানুয়ারি মাসে পথচারীকে গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ, বেপরোয়া গতির কারণে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ১৭ দশমিক ০৭ শতাংশ, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনা ৮ দশমিক ০৪ শতাংশ বেড়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি বছর মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৪১ দশমিক ৬১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৯ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২১ দশমিক ২৮ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত দুর্ঘটনার ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও দশমিক ৯৪ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়।

গেল বছরের ডিসেম্বর মাসের তুলনায় বিগত জানুয়ারি মাসে সড়ক-মহাসড়ক উন্নয়নের ফলে যানবাহনের গতি বৃদ্ধির কারণে জাতীয় মহাসড়কে ১ দশমিক ৬০ শতাংশ, ফিডার রোডে ১ দশমিক ৯১ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা বাড়লেও আঞ্চলিক মহাসড়কে ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা কমেছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে এসব দুর্ঘটনার ১২টি কারণ উল্লেখ করা হয়। উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হলো- বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, বিপদজনক ওভারটেকিং, রাস্তা-ঘাটের ক্রটি, ফিটনেস বিহীন যানবাহন, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতা, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল ফোনের ব্যবহার, মাদক সেবন অবস্থায় যানবাহন চালানো, রেলক্রসিং ও মহাসড়কে ফিডার রোড থেকে হঠাৎ যানবাহন উঠে আসা, রাস্তায় ফুটপাত না থাকা, ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ এবং ছোট যানবাহন বৃদ্ধি।

এছাড়াও এ দুর্ঘটনা রোধে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ কঠোরভাবে প্রয়োগ করাসহ ১২টি সুপারিশমালা প্রদান করে সংগঠনটি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT