খলিষখালীর ঐতিহ্যবাহী ‘পল্লীমঙ্গল ক্লাব’র উদ্যোগে ও লস্কর গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত ৮ দলীয় নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্টের শেষ সেমিফাইনালে স্বাগতিক পল্লীমঙ্গল ক্লাবকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে কপিলমুনির কে.কে. এস.পি স্পোর্টং ক্লাব।
রবিবার (০৬ ডিসেম্বর) বিকাল চারটায় শুরু হওয়া ম্যাচটির প্রথমার্ধ গোল শূণ্য থাকায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জয় পায় কপিলমুনির কে.কে. এস.পি স্পোর্টং ক্লাব।
এর আগে ম্যাচের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলতে থাকে উভয় দল। আক্রমণ-পাল্টা আক্রামণে দর্শকদের বিনোদিত করেছে বারংবার। এদিন দু’দলই দারুণ এক শৈল্পিক খেলা উপহার দেয়। তবে ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে স্বাগতিকরা কয়েকবার গোলের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারলেও প্রতিপক্ষ দলের গোলরক্ষক সামলেছেন দক্ষ হাতে। ফলে নির্ধারিত সময়ে কোন গোলের দেখা পায়নি দল দুটি।
টাইব্রেকার পর্বে এসে আরো চমৎকারভাবে নিজের কাজ সারেন কপিলমুনির কেকেএসপি স্পোটিং ক্লাবের গোল রক্ষক আকাশ আহমেদ। খলিষখালীর করা ৬টি শটের মধ্য তিনটি দুর্দান্ত শট তিনি চোখ জুড়ানো ভঙ্গিমায় ঠেকিয়ে দেন। অন্যদিকে কপিলমুনির কেকেএসপি স্পোটিং ক্লাব স্বাগতিকদের জালে জড়িয়ে দেয় ৪টি শট। ফলে ৪-৩ গোলে জয় লাভ করে কপিলমুনির কেকেএসপি স্পোটিং ক্লাব।
অসাধরণভাবে গোল ঠেকানোর জন্য ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন কপিলমুনির কেকেএসপি স্পোটিং ক্লাবের গোল রক্ষক আকাশ।
সমগ্র ম্যাচ পরিচলনা করেন বাফুফের স্বীকৃত রেফারী সঞ্জয় বিশ্বাস, বিশ্বজিৎ বাচাড়, পশুপতি বিশ্বাস ও আলতাফ।
ধারাভাষ্যে ছিলেন অলিউর রহমান ও আজিজুর রহমার আজিত।
টুর্নামেন্টের সার্বিক পরিচালনায় আছেন খলিষখালী ‘পল্লীমঙ্গল ক্লাব’র আহবায়ক আবু সাইদ গোলদার, সদস্য সচিব বাপ্পা ঘটক, নাজমুল গাজী ও শিমুল কবির।
এর আগে ম্যাচের উদ্বোধন করেন খলিষখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোজাফ্ফর রহমান।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরেক পৃষ্টপোষক প্রতিষ্ঠান ‘দীপ্তী ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক’ এর স্বত্বাধিকারী মঙ্গল মন্ডল।
Leave a Reply