টাওয়ার রেডিয়েশন আন্তর্জাতিক ও বিটিআরসির বেঁধে দেয়া মানদণ্ডের অনেক নিচে আছে, তাই তা নিয়ে আতংকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার মো. আমিনুল হাসান।
দেশের বিভিন্ন স্থানে মোবাইল টাওয়ার থেকে রেডিয়েশনের মাত্রা জরিপ করে মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু পাওয়া যায়নি বলেও জানানো হয়।
ঘর-বাড়ির ছাদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, উপাসনালয়, জেলখানা, প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা ও স্থানসহ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় মোবাইল টাওয়ারের নিঃসৃত বিকিরণ জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ক্ষতি করছে কি না তা খতিয়ে দেখতে সমীক্ষা করতে বলেছিল হাইকোর্ট।
একটি রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ বিটিআরসিকে চার মাসের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের পাশাপাশি মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় তার থেকে কী পরিমাণ বিকিরণ শরীর গ্রহণ করছে (স্পেসিফিক অ্যাবসরপশন রেট বা এসএআর মান) তা নির্ণয় করে প্রতিবেদন দিতে বলে।
দেশের অনেক স্থানে মোবাইল টাওয়ার রেডিয়েশন জরিপ করা হয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে বিটিআরসির কমিশনার আমিনুল হাসান বলেন, টাওয়ারের রেডিয়েশনের ফল অত্যন্ত সন্তোষজনক পাওয়া গেছে যা আমরা নিয়মিতভাবে বিটিআরসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করি। আপনি যদি ভবিষ্যতে আরও উন্নততর সেবা পেতে চান তাহলে আরও বেশি মোবাইল সাইট স্থাপনের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, টাওয়ার রেডিয়েশন নিয়ে নানারকম বিভ্রান্তি আছে, এটা ভিত্তিহীন। আমরা সরকারি, বেসরকারি সংস্থা বা ভবন মালিকদের কাছে নিশ্চিত করছি যে আপনারা ভয় পাবেন না। বিটিআরসির হিসাবে সব অপারেটরের প্রায় ৩৩ হাজার টাওয়ার রয়েছে।
মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব মহাসচিব এস এম ফরহাদের সঞ্চালনায় এ আলোচনায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও মোবাইল শিল্পখাতের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Great content! Super high-quality! Keep it up! 🙂