শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

টাকার বিনিময়ে সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে জেলে-বাওয়ালীদের প্রবেশ

রাকিবুল হাসান
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৪৪৮
টাকার বিনিময়ে সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে জেলে-বাওয়ালীদের প্রবেশ
প্রতিকী ছবি

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম বিভাগের নটাবেকী ও দোবেকী সহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ অভয়ারণ্য এলাকায় সুন্দরবনের মায়াবি হরিণ, মাছ, কাঁকড়া ও কাঠ আহরণ করা সম্পন্নভাবে নিষিদ্ধ থাকলেও স্মার্টটিমের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টাকার বিনিময়ে এই সমস্ত নিষিদ্ধ এলাকায় মাছ, কাঁকড়া ধরার অনুমতি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এ ঘটনায় বন বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা নীরব ভূমিকা পালন করছে।

স্মার্টটিম নামক একটি সরকারি বাহিনী সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকায় টহলরত থাকলেও এই টিমের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা ঘুষ বাণিজ্যের স্বর্গরাজ্য কায়েম করছেন বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুন্দরবন থেকে ফিরে আসা জেলে-বাওয়ালীরা জানান, সুন্দরবনের নিষিদ্ধ অভয়ারণ্য এলাকাগুলোতে মাছ, কাঁকড়াসহ বিভিন্ন প্রাণির প্রজনন এলাকা হওয়ায় ওই এলাকায় জেলেদের অনুপ্রবেশ করা নিষিদ্ধ রয়েছে। সাধারণত এসব এলাকা জেলে-বাওয়ালীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকার কারণে প্রচুর পরিমাণ মাছ, কাঁকড়া ও মূল্যবান কাঠ পাওয়া যায় যার কারণে অসাধু জেলে বাওয়ালীরা সংশ্লিষ্ট বন কর্মচারীদের সাথে এবং স্মার্ট পেট্রোল টিমের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশ করে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রতি নৌকা সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকায় প্রবেশ করছেন।

জেলে-বাওয়ালীরা আরও বলেন, যে সমস্ত জেলে বাওয়ালীরা অসাধু বন কর্মচারীদের সাথে যোগাযোগ না করে ও নির্ধারিত টাকা দিতে না পারে তাদেরকে আটক করে বনমামলা দেওয়া হয়।

এদিকে জেলেদের অভিযোগ স্মার্ট পেট্রোল টিমের দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অর্থের বিনিময়ে আলাদাভাবে প্রতি নৌকা পিছু জেলেদের সরকারি পাসের অপর পিঠে একটি গোপন নাম্বার বসিয়ে দেন। যাতে করে ওই নাম্বার দেখে অসাধু জেলেদের অভায়রণ্যে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া যায়।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা এম এ হাসান বলেন, আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর আমার অধীনে সকল সদস্যকে নির্দেশ দিয়েছি। তাদেরকে বলেছি এখানে কোন প্রকার অনিয়ম চলবে না। আমার স্মার্ট পেট্রোল টিম দায়িত্ব পালন করছেন এবং আমি নিজে মাঝে-মাঝে অভিযানে যাচ্ছি। অভয়ারণ্য এলাকায় জেলে-বাওয়ালীদের অবাধ বিচরণের অভিযোগ সঠিক নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT