করোনাভাইরাসের কারণে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এর ফলে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিচ্ছিন্ন আছে দেশের প্রায় ৩ কোটি ৬৭ লাখ শিক্ষার্থী।

এই বন্ধে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সংসদ টেলিভিশন চ্যানেলের মাধ্যমে সেরা শিক্ষকদের রেকর্ডিং করা ক্লাস প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরও একই সিদ্ধান্তের কথা ভাবছে। আজ (রবিবার) প্রাথমিকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সূত্রে জানা গেছে।

বন্ধের এই সময়ে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা অনেকটা গৃহবন্দী। এর মধ্যে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীই প্রায় পৌনে দুই কোটির মতো। মাধ্যমিকে এক কোটির ওপরে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সব বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ওপর প্রভাব পড়ছে। পরিস্থিতি অবনতি হলে এই বন্ধের মেয়াদ আরও বাড়তে পারে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।  এ অবস্থায় সরকার বিকল্প উপায়ে ক্লাস নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী তিন মাসের পরিকল্পনা নিয়ে এই কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে বলে মাউশির উচ্চপর্যায়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) মো. শাহেদুল খবির উদ্যোগের কথা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সরকারের এ টু আই প্রকল্পের সঙ্গে মিলে এই কাজ করা হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সেরা শিক্ষকদের ক্লাস রেকর্ডিং করে সংসদ টিভির মাধ্যমে এই ক্লাস প্রচার করা হবে। সকাল নয়টা থেকে রাত নয়টার মধ্যবর্তী সময়ে এই ক্লাসগুলো প্রচার করা হবে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত একেকটি বিষয়ের জন্য মোট ৩৫টি ক্লাস থাকবে।’

মাউশির সূত্রে জানা গেছে, শনিবার থেকেই এসব ক্লাস রেকর্ডিং করা শুরু হয়েছে। তিনটি স্টুডিওয়ে এই ক্লাস রেকর্ডিং করা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি স্টুডিও সরকারের শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর। এ ছাড়া ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং মোবাইল ফোন অপারেটর রবির স্টুডিওতে এসব ক্লাস রেকর্ডিং করা হচ্ছে। আগামী মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার পরীক্ষামূলকভাবে এসব ক্লাস প্রচার করা হবে। এরপর নিয়মিতভাবে এটি চলবে। আগামী সপ্তাহ থেকেই নিয়মিতভাবে এভাবে ক্লাস হবে।