এদের মধ্যে ঢাকায় দুই নারী ও এক পুরুষ, দিনাজপুরে এক কিশোর এবং রংপুর ও চাঁদপুরে একজন করে শিশু রয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ও জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন:
ঢাকা:
স্বামী-সন্তান নিয়ে দেশে বেড়াতে এসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সোমবার রাতে ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে মারা যান ইতালি প্রবাসী হাফসা লিপি (৩৪)।
হাসপাতালের পরিচালক জসিমউদ্দিন খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ওই নারী চার দিন ধরে সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আইসিইউতে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হাফসার স্বামী সর্দার আব্দুল সাত্তার তরুণ (৩৬) নিজেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। দুই সন্তান অলি (১২) ও আয়ানকে (৬) নিয়ে সপ্তাহ তিনেক আগে দেশে এসে কলাবাগানে উঠেছিলেন তারা।
সাত্তারের বড় বোন ডা. নুরুন্নাহার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ থানার সর্দার বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে হাফসাকে দাফন করা হবে।
এদিকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক বৃদ্ধা মারা গেছেন।
তার নাম মনোয়ারা বেগম (৭২)। তাদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের আহমেদপুর। ছেলে মোশারফ হোসেনের পরিবারের সঙ্গে মিরপুরে থাকতেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন জানান, ৩ অগাস্ট ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন মনোয়ারা। মঙ্গলবার ভোর ৪টায় তিনি মারা যান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে আমজাদ মণ্ডল (৫২) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
“সোমবার মধ্যরাতে তাকে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৬টায় তার মৃত্যু হয়।
আমজাদ পেশায় কৃষক। তার বাড়ি মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার তেতুয়াধারা গ্রামে।
মৃতের ছোট ভাই রাশেদ মণ্ডল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমজাদ শুক্রবার জ্বরে আক্রান্ত হলে তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
দিনাজপুর
দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
রবিউল ইসলাম (১৭) ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ গ্রামের নয়ন ইসলামের ছেলে।
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবু মোহাম্মদ খয়রুল ইসলাম জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩০ জুন থেকে রবিউল এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
“এই প্রথম জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত কোনো রোগীর মুত্যু হলো। আরও ৪৩ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।”
Leave a Reply