বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক বলা হয় তাকে। তার হাত ধরেই বদলে গেছে দেশের ক্রিকেটের রূপ রেখা। বয়স তার ৩৬, যেখানে জীবনের অর্ধেক সময় ধরেই খেলে আসছেন লাল-সবুজের জার্সি গায়ে। বলছি মাশরাফি বিন মর্তুজার কথা। আগের মতো ক্ষুরধার বোলিং এখন আর নেই। তবুও ক্রিকেটের প্রতি নিবেদনের কারণে নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন।
পারফর্ম হয়তো সেভাবে করছেন না, তবুও চ্যালেঞ্জ নিতে পিছপা হচ্ছেন না তিনি। ক্যারিয়ারের অন্তিমলগ্নে এমন সময় দলের অন্যান্য ক্রিকেটারদেরও আসতে পারে বলে মনে করছেন মাশরাফি। ক্রিকেটারদের জীবনে খারাপ সময় আসে। বয়সের কারণেও অফফর্মে চলে যান যান ক্রিকেটাররা। সেই সময় দলের তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পারফর্ম করাটা অনেকক্ষেত্রেই হয়ে ওঠে না।
গতকাল (২৯ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, ‘একটা প্লেয়ারের ক্ষেত্রে একটা বয়স বা একটা সময় আসে যখন তার প্রত্যেকটা দিনই চ্যালেঞ্জিং। আমি হয়তো ওই সময়টায় আছি। চার বছর পর মুশফিক, তামিম, রিয়াদ তাদেরও এই সময়টা আসবে। তরুণ প্লেয়ার যারা থাকবে সবাই চাইবে তাদের সঙ্গে মেলাতে। এটা কিন্তু একটা প্রক্রিয়াই। এটা নিয়ে এতো কিছু ভাবনার দেখি না।’
ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ বিশ্বকাপে আট ম্যাচ খেলে মাত্র একটি উইকেট নেন মাশরাফি। এরপর দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে আর দেখা যায়নি তাকে।
নিজের খারাপ সময়কে ব্যাখ্যা করার সময় আরও বলেন, ‘যেকোনো অবস্থার একটা চাপ থাকে। চাপ সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আমার ক্ষেত্রে যা হয়েছে আমি পারফর্ম করিনি, সবকিছু মিলিয়ে একটু জটিল জায়গায় আছে। এটা নিয়ে ভেবে তো আমি এখান থেকে বের হতে পারব না। একই সময় আমি নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারব না যে কালকে পাঁচ উইকেট পেয়ে সব শেষ করে দিলাম। তাতে কিছুই শেষ হবে
Leave a Reply