ইউপি সদস্যের অনিয়মের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করায় এক নারীকে বেদম পারপিট করেছে ইউপি সদস্য। মঙ্গলবার (১ অক্টোবার) সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তালা সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের খাজরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। ইউপি সদস্যের হাতে লাঞ্চিত ওই নারী এখন তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

আহত নারীর নাম শিরিনা আক্তার (৩৫)। সে তালা উপজেলার রহিমাবাদ গ্রামের মৃত মুন্তাজ আলীর মেয়ে।

জানা গেছে, অসহায় শিরিনা বেগমের মা ওলিমা বেগম সরকারি টিউবওয়েল পাওয়ার আশায় তালা সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মীর শামসুদ্দোহা অকবার (কল্লোল) এর কাছে ২হাজার ৬শ টাকা দেয়। কিন্তু টাকা নেওয়ার দুই বছর পার হলেও ইউপি সদস্য তাদেরকে টিউবওয়েল না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে। টাকা ফেরৎ চাইলে টাকাও ফেরৎ দেয়না সে। এ ব্যাপারে সম্প্রতি তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওলিমা বেগম। এরই জের ধরে আজ সকালে তার মেয়ে শিরিনা আক্তারকে ডেকে বেদম পারপিট করে ইউপি সদস্য মীর শামসুদ্দোহা অকবার।

এসময় ওই ইউপি সদস্য তার শ্লীলতাহানীরও চেষ্টা করে। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা শিরিনা আক্তারকে উদ্ধার করে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এব্যাপারে ইউপি সদস্য মীর শামসুদ্দোহা অকবার (কল্লোল) এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তাদের কাছ থেকে একটি টাকাও নেয়নি। টাকা নিয়েছি প্রমাণ করতে পারলে আমি শাস্তি মাথা পেতে নেব। আর ওরা যে আমার বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর অভিযোগ করেছে সেটিও আমি জানতাম না। আজকের ওই ঘটনার পরে জেনেছি।

তিনি আরো বলেন, আজ সকালে আমি শিরিনার সাথে কথা বলার জন্য ওকে ডেকে পাঠায় কিন্তু ও না এসে জনসম্মুখে আমার বিরুদ্ধে বাজে কথা বলতে থাকে। পরে তার সাথে কথাকাটাটির এক পর্যায়ে ধক্কাধাক্কি হয়, মরধোর নয়। এখানে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমার সম্মানহানীর লক্ষে শিরিনার মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছেন।

এ ব্যাপারে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।