শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

‘তিনি দয়া ও করুণা করলেই কেবল খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন’

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ১৪ মার্চ, ২০২০
  • ১৮৫
'তিনি দয়া ও করুণা করলেই কেবল খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন'

স্বাস্থ্যগত কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজেই এখন কারাগার থেকে বের হতে চাইছেন। আর এ জন্য সরকারের ‘আনুকূল্য’ নিতেও রাজি আছে বিএনপি।

জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘দলীয় চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য আমরা এখন প্রধানমন্ত্রীর দয়ার ওপর নির্ভর করে বসে আছি। তিনি দয়া ও করুণা করলেই কেবল খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন।’

গত বছর মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লন্ডন সফরকালে স্থানীয় বিএনপির বিক্ষোভসহ নানা তৎপরতায় খালেদা জিয়ার কারামুক্তি দেরি হয়েছে বলে বিএনপি নেতারা মনে করছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলটির স্থায়ী কমিটির একাধিক নেতা  জানিয়েছেন, ওই সময় লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘বিরক্ত’ না করা হলে খালেদা জিয়া কারাগার থেকে বের হয়ে যেতেন। দলের পক্ষ থেকে নেওয়া একটি উদ্যোগে সরকারও ওই সময় তাঁকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছিল বলে ওই নেতারা দাবি করেন। তাঁরা জানান, কারামুক্ত হয়ে খালেদা জিয়া প্রথমে বাসায় এবং পরে লন্ডনে যাবেন— এমনটি সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু তারেক রহমানের সমর্থকরা লন্ডনে নানাভাবে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের ‘উত্ত্যক্ত’ করায় ওই উদ্যোগ ভেস্তে যায়।

ওই সময় লন্ডনে বিক্ষোভ প্রদর্শন ছাড়াও স্থানীয় বিএনপি নানাভাবে শেখ হাসিনা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের ‘বিরক্ত’ করেছে বলে আলোচনা ওঠে। ওই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন, যা তাঁর একটি বক্তৃতায় উঠে এসেছে। ফলে বিএনপির পক্ষ থেকে নেওয়া একটি উদ্যোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গুঞ্জন সত্ত্বেও ওই সময় খালেদা জিয়া মুক্ত হননি। উপরন্তু প্রধানমন্ত্রীর লন্ডন থেকে ফেরার এক দিন পরে খালেদা জিয়ার মামলার জন্য কেরানীগঞ্জে সংশ্লিষ্ট আদালত স্থানান্তর করা হয়। থেমে যায় খালেদা জিয়ার মুক্তি আলোচনাও।

নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো থেকে জানা যাচ্ছে, খালেদা জিয়ার কারামুক্তির জন্য পরিবারের পাশাপাশি দলগতভাবে বিএনপিও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন মাধ্যমে তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলছে। তবে বিএনপি নেতারা মনে করেন, সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবুজ সংকেত পাওয়া গেলেই কেবল এ প্রশ্নে অগ্রগতি হবে।

জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বৃহস্পতিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে আমরা চেষ্টা করছি। আমি রায়ের কপিটা চেয়েছি। হাইকোর্ট কী বলেছেন সেটি দেখে মতামত দেব।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের মতামত ছাড়াও ব্যক্তিগতভাবে তারা (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) আমার মতামত চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।’

অগ্রগতি নেই জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মতামতের জন্য আবেদন আমরা আইনমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। মতামত এলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শুধু পরিবার নয়; বিএনপির কাছেও দলীয় চেয়ারপারসনের জীবন এই মুহূর্তে সবচেয়ে মূল্যবান। ফলে স্বাস্থ্যগত কারণে আমরা তাঁর মুক্তি চাই।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার সঙ্গে অন্য কোনো রাজনীতি বা দরকষাকষির বিষয় জড়িত থাকা উচিত নয়। তিনি (খালেদা জিয়া) তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। আমরা আশা করব, সরকার তাঁর প্রতি যথাযথ সম্মান দেখাবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT