নীলফামারীর শেখ কামাল স্টেডিয়ামে এই হারে অজেয় থাকার রেকর্ডও ভঙ্গ হলো বসুন্ধরার। এই ম্যাচের আগে বসুন্ধরা নিজেদের মাঠে হারেনি। কিন্তু চট্টগ্রাম আবাহনী ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ফিরে তাদের হারিয়ে দিলো।
ম্যাচের ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ছিল বসুন্ধরা কিংসের রাজত্ব। তিন গোলে এগিয়ে থেকে জয়ের স্বপ্নই দেখছিল তারা। বিরতির দুই মিনিট আগে বসুন্ধরা এগিয়ে যায়। কলিনদ্রেসকে বক্সের ভেতরে ফাউল করেন মনির আলম। পেনাল্টি থেকে তাজিকিস্তানের আখতাম নাজারভ লক্ষ্যভেদ করেন।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে কলিনদ্রেসের ফ্রি-কিকে নিকোলাস দেলমন্তে হেডে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন।
বিরতির পরও বসুন্ধরার আক্রমণ অব্যাহত থাকে। ৫৯ মিনিটে বখতিয়ার দুইশবেকভের পাসে ডান পায়ের জোরালো শটে জাল গোল করেন কলিনদ্রেস।
তিন গোলে পিছিয়ে চট্টগ্রাম আবাহনী যেন আহত বাঘের মতো গর্জে ওঠে। তিন মিনিটের মধ্যে দুই গোল শোধ দেয়। ৬৪ মিনিটে বাইলাইন থেকে নাসিরুল ইসলামের ক্রসে হেডে গোল করেন আইভরিয়ান খেলোয়াড় চার্লস দিদিয়ের।
৬৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে স্কোরলাইন ৩-২ করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নিক্সন গুলের্মে। এএফসি কাপে আলো ছড়ানো বসুন্ধরা গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো এবার আর সেভ করতে পারেননি।
ম্যাচের শেষের দিকেও রোমাঞ্চ যেন বাকি ছিল। ৮৭ মিনিটে ডানদিক থেকে মানাফ রাব্বীর ক্রসে গুলের্মে বল পাঠিয়ে দেন জালে।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে মান্নাফ রাব্বীর ক্রস থেকে দলকে ৩ পয়েন্ট এনে দেন চিনেদু ম্যাথিউ।লিগে বসুন্ধরা কিংসের টানা দ্বিতীয় হার এটি। ৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১০। সমান ম্যাচে চতুর্থ জয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর ১৩।
Leave a Reply