ঠাকুরগাঁওয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর নির্যাতনকে পরিকল্পিত ‘গুজব’ ও সাজানো ‘নাটক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অর্জনকে ম্লান করতে বিদেশি চক্রের মদতে সাবেক ‘স্বৈরাচারী’ সরকার এসব ‘কূটকৌশলের’ আশ্রয় নিচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের কালীবাড়ির নিজ বাসভবনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর চলমান হামলা, ভাঙচুর ও জমি দখল নিয়ে আলাপকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।
বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে এরকম একটি ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি গোয়েন্দা ও বিভিন্ন সূত্র থেকে জেনেছি, ৩০০-৪০০ পুরুষ মানুষ, সবার হাত খালি, সঙ্গে স্ত্রী-সন্তান বা স্বজন কেউ নেই। তারা সীমান্তে গিয়ে ক্যামেরার সামনে বলছে, আমরা দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছি। একটি বিদেশি চক্র যারা বাংলাদেশের বিজয়কে ধূলিসাৎ করতে চায়, তারা বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের অলীক কাহিনি প্রচার করতে এসব নাটক সাজাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকার বিগত বছরগুলোতেও সংখ্যালঘুদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় নিজেদের লোক দিয়ে এরকম নাটক মঞ্চস্থ করে গেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে যে সকল হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে সেগুলো সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। কোনও ধর্মীয় ইস্যুতে এই হামলা-ভাঙচুর হয়নি। গত ৫ আগস্টের পর থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে ধর্মীয় সহিংসতার এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। বিএনপি থেকে নির্দেশনা আছে, দলের কারও বিরুদ্ধে যদি এরকম কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাকে তাৎক্ষণিক দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, পৌর বিএনপির সভাপতি পয়গাম আলি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আল মামুনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
Leave a Reply