শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

তীব্র তাপপ্রবাহে গলে যাচ্ছে সড়কের বিটুমিন

সারাদেশ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১৯৩

গত কয়েক দিনে যশোরে লাগাতার তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। প্রচণ্ড তাপমাত্রার কারণে যশোরের বিভিন্ন স্থানে সড়কের বিটুমিন গলে যাচ্ছে। ডায়রিয়াসহ গরমজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।

 

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ জানান, রবিবার (২১ এপ্রিল) বিকাল তিনটায় যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৩০ শতাংশ। আগামী দুই-তিন দিন পর বৃষ্টি হতে পারে।

 

এর আগের দিন শনিবার (২০ এপ্রিল) জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

প্রতিদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। তীব্র তাপপ্রবাহে জনশূন্য হয়ে পড়ে সড়কগুলো। মানুষের উপস্থিতি যেমন কম, তেমনি যানবাহনের উপস্থিতিও নেই বললেই চলে।

 

শহরের মুজিব সড়কে রিকশা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন চালক প্রশান্ত দাস। তিনি বলেন, ‘বেলা ১১টা পর্যন্ত যাত্রী পাওয়া যায়। এরপর থেকে রাস্তা জনশূন্য হয়ে যায়। ওপরে সূর্যের যেমন তাপ, তেমনি নিচে রাস্তা থেকেও ওঠে আসে ভ্যাপসা গরম। সন্ধ্যার আগে আর যাত্রী মিলবে না। প্রচণ্ড গরমে নিজের শরীরও হাঁসফাঁস করে।’

 

চৌগাছা থেকে খুব সকালে ৬০ কেজি পেয়ারা এনে সাইকেলে নিয়ে বিক্রি করছেন ঝিকরগাছা উপজেলার বারাকপুর গ্রামের সোহেল রানা। বেলা দেড়টা পর্যন্ত তিনি ২০-২৫ কেজি মতন পেয়ারা বিক্রি করতে পেরেছেন। তিনি জানান, খুব গরমের কারণে রাস্তায় লোকজন নেই; সেই কারণে বেচাবিক্রিও হচ্ছে না।

 

যশোর জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী ভর্তি হয়েছে ২৪ জন। আগের রোগী মিলিয়ে বর্তমানে রয়েছে ২৮ জন। এর মধ্যে শিশু ১২, নারী এবং পুরুষ ৯ জন। শিশুদের মধ্যে তিন জন হাম, পক্স ও টিটেনাস আক্রান্ত। অন্য সবাই ডায়রিয়া রোগী। হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স হোসনে আরা খাতুন এ তথ্য দিয়েছেন।

 

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার আব্দুস সামাদ বলেন, ‘এই গরমে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিস, হার্ট ও কিডনি রোগী। গরমের কারণে বেশির ভাগ শিশু ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে। এই গরমে স্ট্রোক, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া প্রভৃতি রোগে মানুষ আক্রান্ত হয়।’

 

রোদে বাইরে বের হলে ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে ডাক্তার আব্দুস সামাদ বলেন, ‘সকলের উচিত সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করা। এখন প্রচুর পরিমাণে সুপেয় পানি, ডাবের পানি, স্যালাইন, দেশি ফলমূল খাওয়া উচিত। পচা ও বাসী খাবার যেন কেউ না খায়।’

 

এদিকে, লাগাতার প্রচণ্ড গরমে যশোরে বিভিন্ন সড়কের বিটুমিন গলে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে কথা হয় সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মাহবুব হায়দার খানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রাস্তার বিটুমিন গলে যাচ্ছে মূলত তাপমাত্রার কারণেই। গত কয়েক দিন ধরে যশোরে প্রচণ্ড তাপমাত্রা বিরাজমান। এই তাপমাত্রায় রাস্তার কোথাও কোথাও বিটুমিন গলে যাচ্ছে এমন খবর আমাদের কাছে রয়েছে।’

 

যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে সহনীয় সড়কে ৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়। পরে আরও বেশি তাপমাত্রা সহনশীল সড়কে ৬০-৭০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু কিছু রাস্তা বেশ কয়েক বছর আগে তৈরি। সেখানে মূলত ৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে। সে কারণেও এগুলো গলে যেতে পারে।

 

গত ১৯ এপ্রিল যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৭ এপ্রিল ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ১৬ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT