শিরোনাম :
ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জাই পেলো বাংলাদেশ বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সাতক্ষীরায় আনন্দ র‌্যালি সাতক্ষীরা সদর মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের মতবিনিময় সভা জাতীয় পতাকার ওপর ইসকনের পতাকা, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ নির্বাচন নিয়ে যা বললেন ভিপি নুর সার্চ কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি বিশ্ব স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা সাতক্ষীরা বোটানিক্যাল সোসাইটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বৃক্ষরোপন সাকিবের খেলতে না পারার পেছনে বিসিবি জড়িত নয়: ফারুক সাতক্ষীরায় জিপি, পিপি ও নারী-শিশু পিপিসহ ৩৪ আইন কর্মকর্তা নিয়োগ

দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে গাজা-সুদান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪
  • ১০৪
গাজায় দুর্ভিক্ষ-অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে ৩ লাখ ফিলিস্তিনি

খাবারের অভাবে গাজা উপত্যকার লক্ষাধিক মানুষ এখন দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। সেই সঙ্গে সুদানেও চলমান সংঘাত বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্ষুধা সংকটের কারণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। খাবারের তীব্র সংকটের ফলে একটি দেশের জনগোষ্ঠী গুরুতর অপুষ্টি, অনাহার বা মৃত্যুর দিকে ঝুঁকে পড়লে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়।

 

সাধারণত কোনো দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে কি না, সেটা ঘোষণা করে জাতিসংঘ। কখনও কখনও দেশটির সরকারের সঙ্গে বা অন্য আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা বা মানবিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে মিলে এ ঘোষণা দেয় সমন্বিত খাদ্য নিরাপত্তা পর্যায় বা আইপিসি নামে জাতিসংঘের একটি মাপকাঠির ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তীব্রতার পাঁচটি ‘পর্যায়ের’ ভিত্তিতে একটি দেশের খাদ্য ঘাটতি বা খাবারের নিরাপত্তাহীনতার র‍্যাঙ্কিং করা হয়, যার পঞ্চম ও সর্বশেষ ধাপ দুর্ভিক্ষ।

 

তবে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করার জন্য একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকায় তিনটি জিনিস ঘটতে হবে-

 

১. কমপক্ষে ২০ শতাংশ পরিবার খাদ্যের চরম সংকটের মুখোমুখি হবে
২. কমপক্ষে ৩০ শতাংশ শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগবে এবং
৩. দশ হাজার মানুষের মধ্যে প্রতিদিন দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক বা চারজন শিশু ‘সম্পূর্ণ অনাহার বা অপুষ্টিতে ভুগে কিংবা এবং রোগে আক্রান্ত হয়ে’ মারা যাবে।

 

এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন আর ২০২৪ সালের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে যেকোনো সময় তা ঘটতে পারে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামাসের হামলার পর গাজায় কয়েক মাস ধরে চলা সংঘাতের ফলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

আইপিসির শ্রেণীবিভাগ অনুযায়ী, গাজার প্রায় ১১ লাখ মানুষ অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী ক্ষুধার্ত। পরিস্থিতি যদি সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছায় তাহলে ২০২৪ সালের জুলাইয়ের মধ্যেই গাজার সবাই দুর্ভিক্ষের মুখে পড়বে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT