চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন ও সংসদীয় পাঁচ আসনে উপনির্বাচনে দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ভোট পরার আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টরা। তবে ইসি ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে ব্যাপক তৎপরতাও চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, চলতি বছর চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে ভোটারদের তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। ভোটারদের মধ্যে ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ ভোট দিয়েছেন। সেটি ছিল স্বরণকালের সর্বনিম্ন ভোট। এরপর ঢাকা সিটিতে ভোটাররাও মুখ ফিরেয়ে নেন। ঢাকা উত্তর সিটিতে ভোটার উপস্থিতির হার ছিল ৩৭ শতাংশ; দক্ষিণ সিটিতে ৪৮ শতাংশ। কিন্তু এসব পিছনে ফেলে দেশের সর্বনিম্ন ভোট পরার আশঙ্কা করা হচ্ছে চসিক ও সংসদীয় পাচঁ আসনে উপনির্বাচনে।
ইসি কর্মকর্তারা বলেন, এমনিতে দেশের সাধারণ মানুষ ভোট বিমুখ। ভোটকেন্দ্র তেমন ভোটার দেখা যায় না। তারপর এবার করোনা ভাইরাসের একটি বড় বিষয় আছে। ফলে মহা টেনশনে ইসি। সম্প্রতি ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিত কম হওয়ায় বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা শুনতে হয়েছে ইসিকে। এবার হয়ত আরো সমালোচনায় পরবে ইসি। তবে ইসি এখন সবার প্রথমে ভোটার উপস্থিতিকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা শনিবার (১৪ মার্চ) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বৈঠক করেছেন। অন্য কমিশনাররাও পর্যায়ক্রমে নির্বাচনী এলাকায় যাচ্ছে। তবে শঙ্কা কাটছে না। সম্প্রতি সিইসি বার বার ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে অনুরোধ করছেন।
আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। এ ছাড়া ওই দিনই ব্যলটে বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে।এর আগে ২১ র্মাচ ইভিএমে ঢাকা-১০ এবং ব্যালটে গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনেও উপ-নির্বাচন হবে।
Leave a Reply