সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, দেশে ধনী-গরিবের বিভেদ বাড়ছে। আমরা চেষ্টা করছি সামাজিক নিরাপত্তার মাধ্যমে এর সমাধান করতে। নয়তো ধনী-দরিদ্রের তফাতটা বাড়তেই থাকবে।
শনিবার (৭ মার্চ) বিকালে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত মুজিববর্ষে ২০ দিনের কর্মসূচি অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, আমাদের দেশ যখন স্বাধীন হয়, তখন আমরা ৭০ ভাগ মানুষ গরিব ছিলাম। এখন আমরা সেটাকে নিয়ে এসেছি ২২ দশমিক ৪ শতাংশে। আমরা অনবরত এটা কমাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২০৪০ সালে আমরা হব উন্নত দেশ। যেখানে কোনো অভাব থাকবে না।
তিনি বলেন, আমি নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি, ২০৪০ সালে এ সংখ্যা হবে মাত্র ৭ থেকে ১০ শতাংশ। এইসব মানুষের জন্য আমাদের রাষ্ট্রের কিছু করতে হবে। আর অন্যান্য মানুষ নিজে নিজে তাদের ব্যবস্থা করবে, কোনো অসুবিধা হবে না। আল্লাহর মেহেরবানি থাকলে সেই উজ্জ্বল দিনগুলো আমিও দেখে যেতে চাই।
বঙ্গবন্ধুর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একটা কথা বলে গিয়েছিলেন, আমি সবসময় অন্যদেরও তা স্মরণ করিয়ে দেই। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সোনার বাংলা গড়ব। সোনার বাংলার ভিত্তি হচ্ছে মাটি এবং মানুষ। আমার মাটি হচ্ছে ভিত্তি আর মানুষ সৃজন করবে।
আমাদের মানুষ ৭ কোটি থেকে ১৬ কোটি হয়েছে। জমির পরিমাণ কমছে, কিন্তু ফসল উৎপাদন বেড়েছে। আমরা এখন ৪০ লাখ টন খাদ্যশস্য উৎপাদন করি। বাংলাদেশের যখন জন্ম হয়, তখন আমরা ১১ লাখ টন খাদ্যশস্য উৎপাদন করতাম। ফলে এখন কেউ অভাবে মারা যায় না। আর যদি কেউ এ কথা বলেন, তাহলে প্রলাপ করা ছাড়া তা আর কিছুই নয়।
সাবেক অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য ছিলাম। ৭ই মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা হয়। ২৬ মার্চ ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল বঞ্চিত, শোষিত মানুষকে উজ্জীবিত করার।
Leave a Reply