শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

দ্বিতীয় স্ত্রী তালাক না দেওয়ায় প্রথম স্ত্রীর ভাই ও ভায়রাকে দিয়ে ধর্ষণ!

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ৫ অক্টোবর, ২০২০
  • ২০৮
দ্বিতীয় স্ত্রী তালাক না দেওয়ায় প্রথম স্ত্রীর ভাই ও ভায়রাকে দিয়ে ধর্ষণ!

দ্বিতীয় স্ত্রী ধর্ষকদের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগে স্বামী সুজন মিয়া, সহযোগিতার অভিযোগে রাজিয়া বেগম নামের এই নারী এবং ধর্ষক নূরনবীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

দ্বিতীয় স্ত্রী তালাক দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে ডেকে প্রথম স্ত্রীর ভাই ও ভায়রাকে দিয়ে ধর্ষণ করিয়েছেন সুজন মিয়া (৩৫) নামে এক দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার নারীর মামলায় ধর্ষক নুরনবী (৪০) ও সহযোগিতার অভিযোগে স্বামী সুজন মিয়া ও রাজিয়া বেগম (৩৫) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪।

রবিবার (৪ অক্টোবর) রাতে জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ও মাদারগঞ্জ উপজেলার তারতাপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে জামালপুর র‌্যাব-১৪,সিপিসি-১ এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার এম এম সবুজ রানা এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, জামালপুর সদর উপজেলার চর মল্লিকপুর গ্রামের মৃত রইচ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মো. সুজন মিয়া (৩৫) প্রথম স্ত্রীকে (৩২) দেড় বছর আগে তালাক দিয়ে মেলান্দহ উপজেলায় আরেক নারীকে (২৫) কে বিয়ে করে। বিয়ের এক বছর পর সুজন মিয়া দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেয় এবং পুনরায় প্রথম স্ত্রীকে বিয়ে করে। তালাকের পর দ্বিতীয় স্ত্রী তার বাবার বাড়ি চলে আসে। চলতি বছরের মে মাসে সুজন মিয়া পুনরায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে ঘরে তুলে সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছিল। তবে এবার দ্বিতীয় স্ত্রীকে বিয়ের পর তার মধ্যে দুরভীসন্ধির সৃষ্টি হয়। আবারও প্রথম স্ত্রীর কাছে যেতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাকের চাপ দেয় সে। এতে রাজি না হওয়ায় গত ২২ সেপ্টেম্বর সুজন মিয়া তার বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দ্বিতীয় স্ত্রীকে মাদারগঞ্জ উপজেলার তারতাপাড়া গ্রামে প্রথম স্ত্রীর বড় বোন রাজিয়া বেগমের স্বামী নুরনবীর বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তার প্রথম স্ত্রীও ছিল।

এরপর সে দ্বিতীয় স্ত্রীকে জোর করে আবারও তালাক দিতে চাপ দেয়। স্ত্রী সামনে দেওয়া তালাকের কাগজে স্বাক্ষর না করায় তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে প্রথম স্ত্রী জাহানারা বেগম ও তার বড় বোন রাজিয়া বেগমের সহায়তায় প্রথম স্ত্রীর ভাই মিজানুর রহমান ও রাজিয়া বেগমের স্বামী নুরনবীকে দিয়ে সংঘবদ্ধভাবে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ধর্ষণ করায় প্রতারক স্বামী সুজন। এরপর ধর্ষণের শিকার নারীকে সেই ভাড়া বাসায় ফেলে এই ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দিয়ে যায়।

এ ঘটনায় মাদারগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ধর্ষণের শিকার নারী। পরে আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালায় র‌্যাব-১৪। অভিযানে ধর্ষক নূরনবী, ধর্ষণে সহায়তাকারী স্বামী সুজন মিয়া ও রাজিয়া বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। অপর ধর্ষক মিজানুর রহমান পলাতক রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT