বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ধর্ষণ একটি নিকৃষ্টতম অপরাধ। ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের শপথ কক্ষে ইউএনএফপিএ-এর কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের বাস্তবায়নাধীন ‘এসপিসিপিডি’ প্রকল্পের আওতায় ‘কনসার্টেড রেসপন্স টু স্টপ চাইল্ড ম্যারেজ, প্রিভেন্ট জেন্ডার বেসড ভায়োলেন্স অ্যান্ড ইম্প্রোভ মেটার্নাল হেলথ ডিউরিং নেচারাল ডিসেস্টার অ্যান্ড কোভিড-১৯ পেন্ডেমিক’ শীর্ষক পলিসি ডায়ালগে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, এসপিসিডি প্রকল্পের অধীনে তিনটি সাব কমিটি জনসংখ্যা উন্নয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো যেমন-বাল্যবিবাহ রোধ, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু রোধ, যুব উন্নয়ন, কিশোরীদের অধিকার নিশ্চিতকরণে সফলতার সঙ্গে কাজ করছে। এ উদ্দেশ্যে সংসদ সচিবালয়ের পাশাপাশি নির্বাচনি এলাকাগুলোতে সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণে তৃণমূল পর্যায়ে সরাসরি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়, যা অত্যন্ত কার্যকর।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ চলাকালীন সময়ে বন্যাকবলিত এলাকা, হাওর-চরাঞ্চলে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
এছাড়া, প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোনও নারী নির্যাতনের শিকার হলে ন্যাশনাল রেসপন্স প্লান-এর অংশ হিসেবে উপজেলা নারী বিষয়ক কর্মকর্তারা ফার্স্ট রেসপন্ডার-এর ভূমিকা পালন করে যাবতীয় আইনি সহায়তা পেতে তাদের সহযোগিতা করতে পারেন। সম্প্রতি চালু করা ‘মাই কনস্টিটিউয়েন্সি’-অ্যাপে কোভিড চলাকালীন সময়ে পরিবর্তিত তথ্য আপডেট করার মাধ্যমে এর কার্যকরিতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্পিকার বলেন, ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ও নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে আরও সংবেদনশীল ও সম্মানজনক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে সচেতনতা প্রয়োজন। কোভিডকালীন সময়ে পরিকল্পিত ও সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনা গ্রহণের মাধ্যমে মা-শিশু-নারীদের নির্যাতন থেকে সুরক্ষিত রাখতে ও তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এসপিসিপিডি আয়োজিত আজকের পলিসি ডায়ালগ থেকে আগামীতে প্ল্যান অব অ্যাকশন নির্ধারণ করা যেতে পারে। ’
নারীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারীর ক্ষমতায়নে সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।
Leave a Reply