শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

ধর্ষণবিরোধী প্রতিবাদে উত্তাল ঢাবি, ক্লাস বর্জন

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫
  • ৮৪
ধর্ষণবিরোধী প্রতিবাদে উত্তাল ঢাবি, ক্লাস বর্জন

দেশে লাগাতার ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় ধর্ষকদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিতকরণ এবং দেশব্যাপী যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরুপ ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (৯ মার্চ) বেলা সোয়া ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় তারা ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবিতে মৌন মিছিল করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।

এসময় শিক্ষার্থীরা— ‘ইউ ওয়ান্ট ইউ ওয়ান্ট, জাস্টিস জাস্টিস’, ‘ইউ ওয়ান্ট জাস্টিস, হ্যাং দ্যা রেপিস্ট’; ‘আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাই নাই’; ‘তুমি কে আমি কে, আসিয়া আসিয়া’; ‘আমার বোন তোমার বোন, আসিয়া আসিয়া’; ‘আমার বোনের কান্না, আর না আর না’; ‘একটা একটা ধর্ষক ধর, ধরে ধরে কবর দে’; ‘রশি লাগলে রশি নে, ধর্ষকদের ফাসি দে’; ‘ধর্ষকদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’; ‘২৪ এর বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাই নাই’; ‘জাহাঙ্গীর করে কী? খায় দায় ঘুমায় নাকি?’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দা লাসনা কবির, অধ্যাপক আবু হুসাইন মোহাম্মদ আহসান এবং প্রভাষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শেহরিন আমিন ভূইয়া একাত্মতা পোষণ করে মিছিলে অংশ নেন।

লোক প্রশাসন বিভাগের ৫২ ব্যাচের শিক্ষার্থী তুয়াম্মুম কবির বলেন, আমরা এই ধর্ষকদের ১ মিনিটের ফাঁসি চাই না। আরও কঠিন শাস্তি কার্যকর করতে হবে। একজন ধর্ষিতা বোন যেমন কষ্ট সহ্য করে, এদের তার চেয়ে কঠিন শাস্তির মাধ্যমে মৃত্যু নিশ্চিত করতে হবে। আমরা বিভাগের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলতে চাই, ধর্ষণের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাস-পরীক্ষায় বসবো না। আমরা লাগাতার আন্দোলন করে যাবো।

 

লোক প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শেহরিন আমিন ভূইয়া বলেন, আমরা শুধু আইনের কথা বলি, রুলসের দোহাই দেই। কিন্তু এই রেপিস্টদের শাস্তি দিতে ১০ দিনের বেশি সময় লাগার কথা না। দ্রুত ট্রাইবুন্যাল গঠন করে অতি দ্রুত প্রকাশ্য শাস্তি কার্যকর করতে পারলে ধর্ষণের পরিমাণ কমে আসবে।

লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক আবু হুসাইন মোহাম্মদ আহসান বলেন, আমাদের প্রতিবাদ প্রতিনিয়ত জানাতে হবে। এটা কীটের মতো রন্ধে রন্ধে ঢুকে গেছে। এটাকে সমূলে উৎখাত করতে হবে। আমরা দায়িত্ব হাতে নিতে চাই না। কিন্তু এর বিকল্প নেই। সরকার যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে শিক্ষার্থীরা আবার মাঠে নামবে। শুধু আসিয়া না, যত রেপের ঘটনা ঘটেছে সবগুলোর বিচার করতে হবে।

লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দা লাসনা কবির বলেন, আমরা কখনও দৃষ্টান্তমূলক কোনও শাস্তি এখন পর্যন্ত দেখতে পাইনি। আমরা যদি ধর্ষকদের উপযুক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে ধর্ষকরা ভয় পেয়ে আর অপরাধ করবে না। আমরা বলতে চাই, এই ধর্ষকরা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট। পশুরা অন্তত তাদের বাচ্চাদের সঙ্গে এসব করে না। কিন্তু আমাদের ছোট মেয়ে আসিয়াকেও তারা ছাড় দেয়নি। আমরা যেনও এই ঘটনাগুলো ভুলে না যাই। আমরা ভুলে যাই বলেই ধর্ষকরা কদিন পরপর তাদের রূপ দেখায়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT