সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও অপহরণের অভিযোগে সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজুল ইসলামসহ দুই জনের নামে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকালে এ মামলাটি দায়ের করেন, মেয়েটির দাদা।
এদিকে এ কাজে সহযোগিতার অভিযোগে এক গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত গৃহবধূর নাম আয়েশা খাতুন। তিনি শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের প্রবাসী রঞ্জুর স্ত্রী। ধর্ষণ চেষ্টাকারী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হাফিজুল ইসলাম একই গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হাফিজুলের সাথে পরিচয় হয় কৈখালী ইউনিয়নের পশ্চিম শৈলখালি গ্রামের ওই স্কুল ছাত্রীর। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই জের ধরে গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ বাড়ি থেকে ওই স্কুল ছাত্রীকে হাফিজুল অপহরণ করে নিয়ে আসেন। এরপর তাকে শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের প্রবাসী রঞ্জুর বাড়ীতে ৫ দিন আটকে রাখা হয়। সেখানে রঞ্জুর স্ত্রী গৃহবধূ আয়েশার সহযোগিতায় তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে এবং গৃহবধূ আয়েশাকে গ্রেফতার করে।
তবে, এ সময় ছাদের উপর থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও এই মামলার অন্যতম আসামী হাফিজুল ইসলাম। এদিকে, উদ্ধারকৃত স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষা ও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীর জন্য সাতক্ষীরায় পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
এ ব্যাপারে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আনিছুর রহমান মোল্যা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর দাদা বাদি হয়ে শ্যামনগরে থানায় দুই জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যে এ কাজে সহযোগিতার অভিযোগে গৃহবধূ আয়েশাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ মামলার অন্যতম আসামীমে হাফিজুলকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply