শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

নতুন সংগঠন করা নিয়ে যা জানালো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৪৮

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের একাংশ নতুন ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে। এ ঘোষণার পরপরই গুঞ্জন ওঠে—তাহলে কী এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভাজন সৃষ্টি হলো?

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামে স্বতন্ত্র একটি সংগঠন ও আহ্বায়ক কমিটি থাকলেও নতুন করে একটি ছাত্র সংগঠন তৈরি করার ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া একাধিক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে এই ঘোষণা দেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামে যে সংগঠনটি রয়েছে সেটি বহাল থাকবে। তবে ছাত্র সংগঠন বা আসন্ন রাজনৈতিক দলে যারা যোগ দেবেন, তারা প্রথমে এই সংগঠন থেকে বের হয়ে যাবেন। এই সংগঠনে থেকে অন্য সংগঠন বা কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়া যাবে না।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, এখানে বিভাজনের কোনও কিছু নেই। শিক্ষার্থীরা যদি মনে করে আলাদা সংগঠন করবে, তবে সেটি তারা করতেই পারে, যেমনটা করছে অন্যান্য সংগঠন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিবির, ছাত্রদলসহ যারা ছিল সবাই তাদের সংগঠন করছে বৈষম্যবিরোধী থেকে বের হয়ে। সুতরাং এখানে বিরোধ বা বিভাজনের কিছু নেই। তবে কেউ অন্য কোনও সংগঠন করলে তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে বের হয়ে করতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, আন্দোলন চলাকালীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, বাম ছাত্র সংগঠনসহ একাধিক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা এসে যুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু আন্দোলন পরবর্তী সময়ে সবাই তাদের নিজস্ব সংগঠনে ফিরে গেছে। কিন্তু এর বাইরে একটা বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী এসেছিল, যারা কোনও সংগঠনের নয়। তাদের তো এখন কোনও যাওয়ার জায়গা নাই। সেই দিকটা বিবেচনা করেই আমরা একটা ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে এখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভাজন হয়নি বা এখানে অনুমতি নেওয়ার তেমন কিছু নেই।

সমন্বয়ক রিফাত রশিদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সবসময় জুলাইয়ের স্পিরিট ধরে রাখার জন্য একটি অরাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে থাকবে। সেখান থেকে যারা রাজনীতিতে যাবে তারা ওই সংগঠনে অর্থাৎ একই সাথে ২ সংগঠনে থাকতে পারবে না। বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি যদি রাজনীতিতে যায় নতুন কমিটি দেওয়া হবে। তবে সংগঠনটি থাকবে। আমরা যারা ছাত্র সংগঠন করবো আমরাও সেখান থেকে বের হয়ে আসবো। এখানে বিরোধ বা বিভাজনের কিছু নেই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাইয়ের স্পিরিট রক্ষার্থে সব সংগঠনের সমন্বয়েই একটি অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT