নতুন সংবিধানে থাকছে চব্বিশের অভ্যুত্থান, কার্যকর করবে অন্তর্বর্তী সরকার

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৬৭
নতুন সংবিধানে থাকছে চব্বিশের অভ্যুত্থান, কার্যকর করবে অন্তর্বর্তী সরকার

নতুন প্রণীত সংবিধানে ২৪ এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বিষয়টি থাকবে বলে জানিয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। পাশাপাশি কমিশন জানায়, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারই নতুন সংবিধান কার্যকর করবে।

রবিবার (৩ নভেম্বর) বিকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সংবিধান সংস্কার কমিশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের সদস্যরা এসব মতামত জানান। এসময় কমিশনের পক্ষ থেকে সংস্কারের সাতটি উদ্দেশ্যের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়।

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানকে পাশ কাটিয়ে সংবিধান প্রণয়নের সুযোগ নেই’, বলে মনে করেন কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রিয়াজ। তার ভাষ্য, ‘জনআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ঘটাতে চাইলে নিঃসন্দেহে সংবিধানে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের বিষয়টি রাখতে হবে। গণঅভ্যুত্থান না হলে এই কমিশন হতো না।’

লেখক ও গবেষক আলী রিয়াজ বলেন, ‘সংবিধানে থাকুক বা না থাকুক, নিঃসন্দেহে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পেছনে ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন আছে। সেটা তো নিঃসন্দেহে ডকুমেন্টেড হতে হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারই নতুন সংবিধান কার্যকর করবে বলে জানান কমিশনের সদস্য, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।

তিনি বলেন, ‘কমিশনের প্রস্তাব পাওয়ার পর সেই প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করবে সরকার। তাদের পরামর্শের ভিত্তিতে সুপারিশ কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। আর সেটা বর্তমান সরকারই কার্যকর করবে।’

সংবাদ সম্মেলনে সংবিধান সংস্কারের ৭টি উদ্দেশ্যের কথা জানায় কমিশন। কমিশনের বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘দীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতিশ্রুত উদ্দেশ্য— সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এবং ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আলোকে বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানো, রাজনীতি এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় সর্বস্তরে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা ছাড়াও ভবিষ্যতে যেকোনও ধরনের ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার উত্থান রোধ, রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ-নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা এবং বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ ও ক্ষমতার ভারসাম্য, রাষ্ট্র ক্ষমতা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকেন্দ্রীকরণ ও পর্যাপ্ত ক্ষমতায়ন, রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক এবং আইন দ্বারা সৃষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকর স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের সদস‍্য অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, ব‍্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ড. শরীফ ভূঁইয়া, ব‍্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী, ফিরোজ আহমেদ, মো. মুসতাইন বিল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT