বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষক না বলা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সের গাইড বই কেনা থেকে শিক্ষার্থীদের বিরত রাখতে শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
চলতি বছরের গত ২ সেপ্টম্বর ৩৭.০২.০০০০.১০৬.৫৬.০০১.১৯-১৪১১ স্মারকে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পাচিালক মোঃ আমিনুল ইসলাম টুকু। আদেশের কপি আঞ্চলিক উপ-পরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে পাঠানো হলেও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন বইয়ের দোকানে অহরহ পাওয়া যাচ্ছে এই নিষিদ্ধ গাইড।
বিশেষ করে সাতক্ষীরা সদর ও আশাশুনি উপজেলায় বেশী বিক্রি হচ্ছে এই নিষিদ্ধ গাইড। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরায় এখনও পর্যন্ত নেয়া হয়নি তেমন কোন পদক্ষেপ বলে জানালেন জেলা শিক্ষা অফিসার।
ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এনসিটিবি’র অনুমোদনহীন এই নিষিদ্ধ গাইড যারা বাজারজাত করছেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন সাতক্ষীরার সচেতন নাগরিক সমাজ।
এর আগে গত গত ১৯ জুলাই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব ড. মোঃ মোকছেদ আলী স্বাক্ষরিত এ স্মারকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সের গাইড বই কেনা থেকে শিক্ষার্থীদের বিরত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
সাতক্ষীরা জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, সাতক্ষীরায় এখনও পর্যন্ত তেমন কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে আগামী জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হবে। তিনি যে ভাবে বলবেন সেভাবে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো জানান, এছাড়া আঞ্চলিক পরিচালক ও উপ-পরিচালক এখনও তেমন কোন নির্দেশনা তাদের দেননি। উনারা যেভাবে নির্দেশনা দেবেন সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান এই শিক্ষা কর্মকর্তা।
Leave a Reply