নেত্রীর আপোষহীন উপাধি খারিজ করতে গিয়ে বিএনপির এমপিরা ধরা খাইছেন: গয়েশ্বর

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৯
  • ৫২২

দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেত্রীর উপাধি খারিজ করতে গিয়ে বিএনপির এমপিরা ধরা খাইছেন এমন মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জিয়া শিশু কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় সংসদ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা যারা বিরোধী দলে কষ্টে আছি। তারা আলোর সন্ধান খুঁজছি। হয়তো বা কিছু একটা হবে। এটা করতে গিয়ে, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আমাদের যে কিছু দায়িত্ববোধ আছে- সেই দায়িত্ববোধ আমরা ভুলে গেছি। আবার অতি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের কিছু কিছু নেতা জেলখানায় গিয়ে নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। এটা নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেন। তারা যে নেত্রীর মুক্তির জন্য খুব বেশি আন্তরিক, সেটা আমাদের ও জনগণের মধ্যে আশ্বস্ত করতে গিয়ে একটা জিনিস ভালো করেছেন। ম্যাডামের যে আপোষহীন উপাধি আছে, সেটা খারিজ করতে গিয়ে ধরা খাইছেন। অর্থাৎ খালেদা জিয়া সরকারের সাথে কোনো সমঝোতা ও আপস করবেন না বা প্যারোলে মুক্তি নেবেন না। আর আমি মনে করি, খালেদা জিয়াকে অনুকম্পা করার যোগ্যতা বাংলাদেশের কারো নেই।’

তিনি বলেন, ‘হায়াত-মউত আল্লাহর হাতে। আমরা আমাদের চেষ্টা করবো। আর গণতন্ত্রের প্রতি যদি শ্রদ্ধাবোধ থাকে তাহলে গণতন্ত্রের মুক্তির আন্দোলন আমরা করবো। আন্দোলন যতটুকু করছি, আরো যতটুকু যৌক্তিক করার তা আমরা করবো। আর সেই আন্দোনের মধ্যে দিয়ে খালেদা জিয়া মুক্তি লাভ করবেন।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘ শারীরিকভাবে দূর্বল থাকলেও খালেদা জিয়া মানসিকভাবে সবল। আর তিনি মাথা নত করার ব্যক্তি নন। হয়তো বা আজকে প্রধানমন্ত্রীসহ যারা নানা ছলচাতুরির মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মৃত্যু জেলখানায় করতে চান। আমি জানি না, আল্লাহ ভাগ্যে কি রাখছেন। আল্লাহ যদি তার মৃত্যু জেলখানায় রাখেন তাহলে খালেদা জিয়ার ওজন শত শত হাসিনার চেয়েও বেশী হবে।’

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কয়েক জনের বক্তব্যে দেখলাম। সেই কথাতে বোঝা যায়, আদালত কতটা স্বাধীন। প্রতিদিন কত মামলায় রায় হয়। কিন্তু খালেদা জিয়ার মামলায় রায় হয় না!

ক্ষসতাসীনদের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, ‘বর্তমান রাজনীতি নাই, আছে শুধু গুজব। আর দুর্নীতির অনুসন্ধানে অনেক খোঁজছেন। কিন্তু যারা করছেন, তারা কতটা দুর্নীতির ঊর্ধ্বে তা জনগণের প্রশ্ন। যে দেশের প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি লালন করেন ও প্রশ্রয় দেন- সেদেশের ডিপার্টমেন্টে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কতটা সক্রিয় হতে পারবে? দুই-একটা টোকাই এর গল্প-উপন্যাসের মতো নাটক তৈরী করে কিছু সময়ের জন্য চমক সৃষ্টি করা যায়। প্রকৃত অর্থে দুর্নীতি থেকে দেশকে রক্ষা করা যায় না।’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আজকে পত্রিকায় দেখলাম, দেশে ৭৬ হাজার কোটিপতি! এটা শুধু ব্যাংকের হিসেবের গচ্ছিত টাকার হিসাব অনুযায়ী। আর এই কোটিপতি প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে হয়েছে। যত টাকা বিদেশে গেছে, তাদের হিসাব হলে কোটিপতির সংখ্যা কত? আর এই কোটিপতিদের যদি তালিকা প্রকাশ হয় তাহলে আওয়ামী লীগ করে না, এমন কোন কোটিপতি পাবেন না! সুতরাং সাধারণ মানুষ নিস্ব হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে সারাদেশের প্রতিটি মানুষ এবং ক্ষমতাসীনরাও মারাত্মক আতঙ্ক ও গুজবের মধ্যে রয়েছে। কারণ গুজব কখনো কখনো মানুষকে আশান্বিত করে। আবার কখনো কখনো আতঙ্কিতও করে।’

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর শিকদারের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছড়াকার আবু সালেহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT