পাইকগাছায় আলেয়া হত্যাকাণ্ডের মূল সন্দেহভাজন মিজান আটক ও ক্লু উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন থানা পুলিশ। উন্নত প্রযুক্তিতে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আশরাফুল আলম, ইন্সপেক্টর (আপারেশন) মোঃ শাহিনুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে যশোর ঝিকরগাছার লাউদানী গ্রামের একটি ইটভাটা থেকে মিজানকে আটক করেন। সে রাড়ুলীর আজিত মোড়লের ছেলে।
জানাগেছে, আলেয়ার দ্বিতীয় স্বামী ছিল মিজান, তবে উভয়ের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হলেও যোগাযোগ ছিল। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পুলিশ মিজানকে খুঁজছিল। ইতোমধ্যে তার মোবাইলটি উদ্ধার করায় নানা তথ্য সংগ্রহ হয়েছে। মিজানের জিজ্ঞাসাবাদে শ্রীকন্ঠপুরের ময়জুদ্দীন গাজীর ছেলে অজিয়ার গাজী ও নিছার সরদারের ছেলে আসানুর নামে ২ জনকে থানা হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
এদিকে গতকাল আটক মিজান পাইকগাছার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দিতে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার তথ্য দেন বলে পুলিশ জানান। ঘটনার রাতে ঘরের বাহিরে প্রথমে মিজানের সাথে আলেয়াকে দেখে অজিয়ার ও সহযোগিরা তর্কে জড়িয়ে পড়ে মারমুখি হয়ে মিজানকে আঘাত করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে কৌশলে আলেয়া ওদেরকে নিবৃত করার চেষ্টা করে তার ঘরে ঢুকলে অজিয়ার, আসানুর ও মিঠু নামে একজন তাকে জাপটে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় আলেয়া প্রতিবাদ করে আইনে যাবার কথা বললে সবাই মিলে তাকে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে চলে যায়।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারী গভীর রাতে উপজেলার রাড়ুলীর কলমিবুনিয়া গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা আলেয়া (৪৫) নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আলমগীর পুর্বশত্রুতার জেরে সন্দেহ বশত স্থানীয় আ’লীগ নেতা আরশাদ আলী বিশ্বাস ও তার নিকটাত্মীয় ৩ জনকে এজাহারে নাম উল্লেখ করে থানায় অজ্ঞাত নামাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ইতোমধ্যে অভিযোগ উঠে স্থানীয় বিরোধে তৃতীয় পক্ষ মাঠে নেমে মামলাটি ভিন্নদিকে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এ নিয়ে পাল্টা-পাল্টি মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে গত বুধবার আরশাদ আলী বিশ্বাস সহ ৩ জন হাইকোর্ট থেকে অগ্রীম জামিন নিয়েছেন। হত্যার ক্লু উদ্ধারের কথা বলে ওসি এমদাদুল হক শেখ জানিয়েছেন, আটক মিজান প্রাথমিক ভাবে আলেয়া হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা বলেছে। তার জিজ্ঞাসাবাদে আরও দু’জনকে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তিনি বিস্তারিত জানাতে চাননি।
Leave a Reply