শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

পানিবন্দী সাতক্ষীরা পৌরসভার ২০ হাজার মানুষ

আসাদুজ্জামান
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০২০
  • ১৭৫
পানিবন্দী সাতক্ষীরা পৌরসভার ২০ হাজার মানুষ

জলবদ্ধতায় ভুগছে সাতক্ষীরা পৌরসভার বেশির ভাগ এলাকার মানুষ। পানি নিষ্কাশনের সু-ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতে ডুবে থাকে রাস্তা-ঘাট, ঘর-বাড়িসহ ফসলী জমি।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর প্রভাবশালীদের অবৈধ নেটপাটা দিয়ে মৎস্যঘের করার কারণে এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে অতি বৃষ্টির কারণে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে আরো ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সাতক্ষীরাবাসীর অভিশাপ এখন জলবদ্ধতা।

পানিবন্দী সাতক্ষীরা পৌরসভার ২০ হাজার মানুষ

সাতক্ষীরার পৌরসভার মুনজিতপুর, রথখোলা, পূর্ব রাজার বাগান, ঢালী পাড়া, কুলিন পাড়া, বদ্দিপুর কলোনী, গদাইবিল, পুরাতন সাতক্ষীরা সরদারবাড়ি, মাদ্রাসা পাড়া, দাসপাড়া, ঋষিপাড়া, সরকারপাড়া, উঃকাটিয়া, কামালনগর, পলাশপোল, রসুলপুর, মধুমোল্লারডাঙি, মেহেদিবাগসহ শহরের অধিকাংশ এলাকা গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে এ সব এলাকার প্রায় ২০ হাজারের অধিক মানুষ। অনেকের বাড়ির উঠানে হাঁটু সমান পানি জমে গেছে। রাস্তার উপর ২/৩ ফুট পানি জমে জনসাধারণের চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। বাড়ি থেকে কাজের সন্ধানে পুরুষেরা পানি ঠেলে বাহিরে বের হলেও নারীরা বের হতে পারছেননা।

পানিবন্দী সাতক্ষীরা পৌরসভার ২০ হাজার মানুষ

তলিয়ে আছে গেছে এসব এলাকার শত শত বিঘা ফসলি জমি, মৎস্যঘের ও রাস্তাঘাট। বিপাকে পড়েছেন প্রসূতি মায়েরা। জলাবদ্ধ এসব অঞ্চলে বর্তমানে নিরাপদ খাবার পানি সংকটের পাশাপাশি স্যানিটেশন ব্যবস্থা বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে পানিতে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। পরিবেশ দূষন শুরু হয়েছে। আর এ জন্য অপরিকল্পিত বেঁড়িবাধ দিয়ে মৎস্য ঘের, পৌসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়া, নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে যাওয়া ও সংযোগ খালগুলো যথাযথভাবে খনন না করা, খালের মধ্যে নেট পাটা দিয়ে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টিসহ বর্ষার পানি নদীতে না পড়তে পারাকেই দায়ী করেছেন নাগরিক সমাজের নেতারা। ইতিমধ্যে অপরিকাল্পত বেঁড়িবাধ অপসারণের মাধ্যমে জলবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজ কয়েক দফায় মানব বন্ধনও করেছেন।

এলাকাবাসী নিজ উদ্দ্যেগে ড্রেনেজ ব্যাবস্থা চালু করে যতসামান্য পানি নিস্কাসনের ব্যাবস্থা করলেও জরুরি ভিত্তিতে তারা জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT