‘আমার থানা এলাকায় যদি কোনো পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ অথবা ট্রাফিক পুলিশ সদস্য চাঁদা আদায় করে, আর সেটা যদি কেউ প্রমাণ দিতে পারে তাহলে তার পোশাক খুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেব।’
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে থ্রি-হুইলারের বিরুদ্ধে অভিযানকালে এক শ্রমিক নেতার চাঁদাবাজির অভিযোগের প্রেক্ষিতে নাটোরের সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুর-এ-আলম সিদ্দিকী এই প্রতিশ্রুতি দেন।
ওই সময় শ্রমিক নেতারা চাঁদাবাজির অভিযোগে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে ওসি সেখানে উপস্থিত হয়ে এমন প্রতিশ্রুতি দেন।
ওসি নুর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে কোনো থ্রি-হুইলারও সিংড়ায় চলবে না। আমরা আদালতের নির্দেশ পালন করছি। তবে জেলা প্রশাসন অনুমতি দিলে সেটা ভিন্ন বিষয়, সেক্ষেত্রে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। অন্যথায় মহাসড়কে কোনো থ্রি-হুইলার চলবে না।
রবিবার দুপুরে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক ইসরাফিলের নেতৃত্বে অবৈধ থ্রি-হুইলারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি সিএনজি আটক করলে শ্রমিক নেতারা মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। পরে থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের চেষ্টায় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।
ওই সময় সিএনজি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রঞ্জু মণ্ডল অভিযোগ করে বলেন, ‘গরিব সিএনজি চালকরা বিভিন্ন এনজিও থেকে টাকা লোন নিয়ে দু-মুঠো ডাল-ভাতের জন্য সড়কে গাড়ি চালায়। এখানে হাইওয়ে পুলিশ মাঝে-মধ্যেই অভিযান করে গাড়ি আটক করে। আবার কখনো টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।’
এমন অভিযোগের পর পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির বিষয় প্রমাণিত হলে তাকে পোশাক খুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ওসি।
এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক ইসরাফিল বলেন, ‘চাঁদাবাজির অভিযোগ সত্য নয়, গত ছয় দিনে দুর্ঘটনায় ছয়জন মারা গেছে। আমরা দুর্ঘটনা রোধের জন্য আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছিমাত্র।’
সবশেষে সিংড়া থানার ওসি নুর-এ-আলম সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে উপস্থিতি শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
Leave a Reply