দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে। তাই পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সরকার ১০টি মনিটরিং টিম গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাণিজ্য সচিব মো. জাফর উদ্দীন সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, ‘কেউ যাতে অনৈতিকভাবে পেঁয়াজ মজুদ কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য পাইকারি ও খুচরা বাজার মনিটরিং করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে ১০টি মনিটরিং টিম গঠন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘যারা মজুত করবেন এবং বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখানে ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, সরকার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা অধিদপ্তরের নেতৃত্বেও মনিটরিং টিম নিযুক্ত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব মনিটরিং টিমের প্রধান কাজ হবে পেঁয়াজ উৎপাদনকারী জেলাগুলোর স্থানীয় বাজার এবং বেনাপোল ও বাংলাবন্ধের মতো স্থলবন্দর থেকে দেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে পণ্যের অবাধপরিবহন তদারকি করা।
এদিকে রোববার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পর হঠাৎ করে দেশি পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে কেজি ১০০-১১০ টাকা হয়ে গেছে।
এ পরিস্থিতিতে বাণিজ্য সচিব বলছেন, দেশীয় ও আমদানি করা পেঁয়াজের সন্তোষজনক মজুত রয়েছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। এছাড়া মিয়ানমার, মিসর ও তুরস্ক থেকে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আসছে।
তিনি বলেন, ভারত সরকার গত ১৩ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে পেয়াজের রপ্তানি মূল্য বাড়ানোর পর সরকার সীমান্ত বাণিজ্য ও এলসি খোলার মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে এবং মিয়ানমার থেকে প্রতিদিন ২০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে।
এছাড়া সরকার মিসর ও তুরস্ক থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে পেঁয়াজ-বোঝাই দুটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করেছে।
তিনি বলেন পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান টিসিবি সোমবার থেকে মাধ্যমে ১৬ স্থানের পরিবর্তে রাজধানীতে ৩৫ স্থানে ট্রাকের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করবে।
Leave a Reply