শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

পেশা হারিয়ে বেকার কপোতাক্ষ পাড়ের জেলে সম্প্রদায়

সেলিম হায়দার
  • আপডেটের সময় : সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
  • ৩২৮

মহাকবি মাইকেল মধুসুদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত দুগ্ধ স্রোতরূপী কপোতাক্ষ নদে এখন তার পাল তোলা নৌকা চলে না । প্রথম পর্যায়ে কপোতাক্ষ খনন প্রকল্প শেষ হলেও জেলে সম্প্রদায় ফিরতে পারেননি পেশায়। এক সময় এ নদের উত্তল তরঙ্গ ভরা যৌবন ছিল। নদের বুক চিরে চলাচল করত বড়-বড় নৌকা, লঞ্চ, কার্গো, জাহাজ। কালের আবর্তে নতুন প্রজন্মের কাছে কপোতাক্ষ এখন শুধুই ইতিহাস। গড়ে উঠেছে কপোতাক্ষ দু’পাশে অবৈধ দখলের মহোৎসব। পলি জমে নদের পানি শূণ্য হয়ে পড়ায় এ অঞ্চলে প্রায় ৩০ প্রজাতির মাছ ইতিমধ্যেই হারিয়ে গেছে। ফলে জেলে সম্প্রদায়ের হাজারও মানুষ পেশা হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছে।

অনেক পরিবার সর্বশান্ত হয়ে কর্মসংস্থানের জন্য এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি জমিয়েছে। অনেকে পৈত্রিক পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশা বেছে নিয়েছে।

সাম্প্রতিক বছর গুলোতে জলবায়ু পরিবর্তন তথা সমুদ্রপৃষ্টে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কপোতাক্ষ নদে তার প্রভাব পড়েছে। স্রোতহীন হয়ে পড়ায় বর্ষায় নদের বুকে জমা পলি অপসারিত হয় না। ফলে প্রতি বছর জেগে উঠেছে অসংখ্য ছোট-ছোট চর। সাথে সাথে চলছে চর দখলের হিড়িক। আর এতে নদ হারিয়ে ফেলছে তার নাব্যতা। অববাহিকা অঞ্চলে কৃষি উৎপাদন ভাল হওয়ায় ব্রিটিশ আমলেই এখানে গড়ে উঠে কয়েকটি বাণিজ্য কেন্দ্র। নদী পথে কম খরচে সহজে পণ্য পরিবহনের সুবিধা থাকায় ব্যবসা বাণিজ্যের পাশাপাশি এ অঞ্চলের গড়ে ওঠে ছোট ছোট কুটির শিল্প। কিন্তু নাব্যতা সংকটের কারণে এ সব শিল্প কারখানা প্রায় ধ্বংসের পথে। কপোতাক্ষ আজ নামে নদী থাকলেও বাস্তবে একটা ডিঙ্গি নৌকাও দেখা যায় না।

সরেজমিনে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কপোতাক্ষ নদের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে গেলে দেখা গেছে, কপোতাক্ষের দুধারে অবৈধ স্থাপনা, দখলবাজ গড়ে ওঠায় কপোতাক্ষের নদ সংকুচিত হয়ে গেছে। সরকার বিভিন্ন সময় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কথা বললেও কার্জতা কাজে আসছে না। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে কপোতাক্ষ অববাহিকার লাখ লাখ মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়তো কিন্তু কপোতাক্ষ খনন হওয়ায় এখন আর নামমাত্র কয়েটি গ্রাম বন্যায় কবলিত থাকে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয় কোটি কোটি টাকার সম্পদ।

সরকার কপোতাক্ষ নদ খননে ২৬২কোটি টাকা বরাদ্দ কাজ প্রথম পর্যায়ে শেষ হয়েছে। এদিকে কপোতাক্ষ পাড়ের হাজারও মানুষ দুঃশ্চিন্তায় দিনাতিপাত করছে। বর্ষা মৌসুমে কপোতাক্ষ অববাহিকার তালা পাটকেলঘাটার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয় তার একমাত্র কারন নেই কোন পানি নিস্কাশনে জন্য ড্রেন ব্যবস্থা। কপোতাক্ষ পাড়ের মানুষের মাঝে চলছে আতঙ্ক। কপোতাক্ষ নদের সাথে সকল সংযোগ খাল বন্দ হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশনের সকল পথ বন্ধ হয়ে গেছে । যার ফলে একটু বৃষ্টিতেই এরূপ চিত্র দেখা যায় উপজেলায় প্রায় সকল স্থানে ।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT