বিশ্বকাপের পরে স্টিভ রোডসের সাথে সম্পর্ক চুকিয়ে দেয় বিসিবি। তার উত্তরসূরী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় প্রোটিয়া কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোকে । ইতোমধ্যে ঢাকায় এসেছেন টাইগারদের দায়িত্ব বুঝে নিতে। এর আগে জানিয়েছিলেন, টাইগারদের কোচ হতে পেরে তিনি আনন্দিত। বাংলাদেশ দলকে ক্রিকেট বিশ্বে সেরাদের কাতারে নিয়ে আসতে চান এই প্রোটিয়া কোচ।নতুন প্রধান কোচ দেখতে চান ধারাবাহিকতা। আগামী দুই বছরে সব সংস্করণে দলকে নিতে চান র্যাঙ্কিংয়ে ৪/৫ নম্বরে।
বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর রাসেল ডোমিঙ্গো ব্যাগপত্র নিয়ে গতকাল (২১ আগস্ট) এলেন বাংলাদেশে, একই দিনে তার আগেই এসে পৌঁছান আগে থেকেই নিয়োগ পাওয়া বোলিং কোচ চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্টও। আনুষ্ঠানিকভাবে আজই (২২ আগস্ট) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন দুজনই। প্রধান কোচ ডোমিঙ্গো বলছেন ক্রিকেট আবেগের দেশে প্রত্যাশার চাপটা উপভোগ করবেন।
আগে থেকে নির্ধারিত থাকা সকাল সাড়ে ১০ টার আশেপাশে সময়েই সংবাদ সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত দুই কোচ। অবশ্য মাঠে এসে কন্ডিশনিং ক্যাম্পের খেলোয়াড়দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত সেরে নিয়েছে আরও অনেক আগেই। আপাতত নতুন কোচের সময়টাও কাটবে খেলোয়াড়দের সাথে পরিচয় পর্ব সারতে আর তাদের সম্পর্কে ধারনা নিতে নিতেই।
দক্ষিণ আফ্রিকান সাবেক কোচ ডোমিঙ্গোও নিজের প্রাথমিক কাজ হিসেবে খেলোয়াড়দের সম্পর্কে ধারনা নেওয়াকেই গুরুত্ব দিলেন, “আমার প্রাথমিক লক্ষ্য খেলোয়াড়দের সাথে সম্পর্ক তৈরি করা। খেলোয়াড়দের বোঝা, দুই এক সপ্তাহের মধ্যে সেটা তৈরি করতে পারবো। এটাই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তাদের আস্থা অর্জনই মুল বিষয় হবে, দেখি তারা কে কীভাবে কাজ করে। আগামী কয়েকদিন পর্যবেক্ষণ করে শিখতে চাই তাদের কাজের ধরন।”
চাপকে জয় করে সফলতা অর্জনেই তৃপ্তি খুঁজে পান রাসেল ডোমিঙ্গো, দক্ষিণ আফ্রিকা বয়স ভিত্তিক থেকে শুরু করে জাতীয় দলের প্রধান কোচ ছিলেন। ফলে চাপ জয় করে সফল হওয়ার মন্ত্র তার ভালোই জানা। বাংলাদেশের কোটি ভক্তের আবেগ, ভালোবাসার বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়েও কাজ করাটা উপভোগ করবেন বলছেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান।
প্রত্যাশার চাপ সামলাতে প্রস্তুত ডোমিঙ্গো সাংবাদিকদের বলেন, “ দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হিসেবে কাজ করেছি ৫ বছর, প্রত্যাশার চাপ সম্পর্কে ভালোই জানি। এখানেও সেরকম কিছুই দেখছি। বিমানবন্দরে নেমেই এত এত ক্যামেরা, আজও শতাধিক সাংবাদিকের উপস্থিতি জানান দেয় ক্রিকেট কতটা জুড়ে আছে এখানে। কোচ হিসেবে চাপ জয় করাই কাজ, উপভোগ করি প্রত্যাশার চাপ। জয় সম্পর্কে আগে থেকে নিশ্চিত হয়ে যাওয়া বেশ বিরক্তির কাজ। চাপ, চ্যালেঞ্জ যেখানে বেশি উপভোগের ব্যাপারটাও সেখানে বেশি।”
Leave a Reply