ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি- এনডিপি’র চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্তজা, মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, সবক্ষেত্রেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শুধুমাত্র কিছু দৃশ্যমান উন্নয়ন ক্ষমতায় থাকার জন্য যথেষ্ট নয়।
দুর্নীতির জালে আক্রান্ত গোটা বাংলাদেশ। মানুষের মানবাধিকার, ভোটের অধিকার, ন্যায় বিচার বলতে অবশিষ্ট আর কিছু নেই। ধর্ষণের মহামারিতে করোনাও হার মেনেছে। কোন কিছু ভাইরাল হলে কিংবা সাধারণ জনগণ রাজপথে নেমে আসলে সেইসব বিষয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করলেও অধিকাংশ বিষয়ই আড়ালে চলে যায়।
করোনার এই মহাদূযোর্গে কোন কিছুই থেমে নেই। চলছে অর্থনীতির চাকা, গণপরিবহনে সামাজিক দূরত্ব বলে আর কোন শব্দ নেই। অফিস-আদালত ফিরেছে আগের চেহারায়। ক্রীড়াঙ্গনও এখন সরব, নির্বাচন সহ নানা মুখী খেলাধুলা চলছে। উপ-নির্বাচন সহ বিভিন্ন পৌরনির্বাচনও থেমে নেই। শুধুমাত্র থেমে আছে শিক্ষাঙ্গন। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে চারশত কোটি টাকা শিক্ষাবোর্ড গ্রহণ করলেও তাদের পরীক্ষা বাতিল করে অটো পাশের ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
অন্যদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে ত্রিশ লক্ষ ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা ও চাকরি অনিশ্চতার পথে। মাধ্যমিকে আগের ক্লাসের ফলের ভিত্তিতে পরবর্তী ক্লাস। অনলাইন পরীক্ষা অথবা অনলাইন ক্লাস বাংলাদেশের কত পারসেন্ট শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করতে পেরেছে? এ বিষয়ে সরকারের কিংবা সংশ্লিষ্ট বোর্ডের সুনিদিষ্ট কোন প্রতিবেদন নেই। আছে একটির পর একটি সিদ্ধান্ত। করোনাকালীন সময় দেশের অনেক বেসরকারী ও কিন্ডার গার্ডেন এর শিক্ষকরা বেকার হয়ে পড়েছেন।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি- এনডিপি’র চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্তজা, মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
তারা আরো বলেন, সরকারের মন্ত্রী সভা ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি চূড়ান্ত করে যে আদেশ অনুমোদন করেছেন আমরা সেই আদেশ কে স্বাগত জানাই। কিন্তু মনে রাখতে হবে কেউ যেন হয়রানীর শিকার না হয় এবং পরিকল্পিতভাবে কাউকে যেন ধর্ষক বানিয়ে এই আইনের অপব্যবহার না করে।
তারা আরও বলেন, বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। যারা মানুষ গড়ার কারিগর তারা ক্ষুধার তাড়ণায় পেশাও পরিবর্তন করে ফেলেছে। এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা সিদ্ধান্ত নেন তারা ভবিষ্যতে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যরিষ্টার কিংবা আইটি সেক্টর অথবা মেনেজমেন্ট সেক্টরে জীবন গড়ে তুলবে সেভাবে নিজেদের কে তৈরী করতে থাকে। অটো পাশের ফলে তাদের জীবনে নেমে এসেছে অন্ধকার। তারা ও তাদের অভিভাবকরা দুঃচিন্তায় আছেন কিভাবে তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করবেন। প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতির চাকাকে সচল করতে আপনি যদি সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তাহলে এই লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে কেন ছেলে খেলা শুরু হলো। এর দায় কোন ভাবেই সরকার এড়াতে পারে না। যেহেতু আপনিই সরকার প্রধান সবার আগে ব্যর্থতার দায় নিয়ে আপনার পদত্যাগ করা উচিৎ।
জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে উন্নয়ন জনগনের কোন কল্যানে আসে না বরং উন্নয়নের নামে কিছু সংখ্যক ব্যক্তিরা মহা লুটপাট করে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্চে। বাংলাদেশ থেকে দশটি দেশে পাচার হচ্ছে অর্থ। এমন অভিযোগ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের বৈঠক থেকে পাওয়া যাচ্ছে।
Leave a Reply