প্রকাশ্য দিবালোকে বাড়ির মধ্যে ঢুকে মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী জোহরা খাতুনের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করে ফেলেছে প্রতিবেশী ধর্ষণ মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামী ইয়ারুল মোল্লা।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার উত্তর তলুইগাছা গ্রামের এই ঘটনায় জোহরার ভাই আমানুল্লাহ গাজী সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তবে পুলিশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে জোহরাকে চিকিৎসাধীন দেখে আসার পরও এ নিয়ে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
এর আগে ২০১৭ সালে একই আসামী ইয়ারুল মোল্লার বিরুদ্ধে জোহরা খাতুনকে জোরপূর্বক ধর্ষণচেষ্টার মামলায় পুলিশ চার্জশীট দেয়। এ মামলা এখন বিচারাধীন। এর পরও ইয়ারুল মোল্লা গ্রামে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
অপরদিকে দ্বিতীয় দফায় একই নারী জোহরা খাতুনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে জখম করার ঘটনায় কোন মামলা না হওয়ায় ইয়ারুল আরও বেশী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
জোহরার ভাই সদর উপজেলার বিহারীনগর গ্রামের আমানুল্লাহ গাজী থানায় দেওয়া অভিযোগে উল্লেখ করেন যে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টায় তার বোন উত্তর তলুইগাছার জোহরা খাতুনের বাড়ি ঢুকে ইয়ারুল মোল্লা গালিগালাজ করতে থাকে। এর প্রতিবাদ করলে বাঁশের লাঠি ও ইট দিয়ে জোহরার মাথায় সজোরে আঘাত করে থেতলে দেয় ইয়ারুল। এসময় তার পরিধেয় কাপড় চোপড় টানাহেঁচড়া করে তার শ্লীলতাহানি ঘটায়। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার পর ইয়ারুল হুমকি দিয়ে বলে, এবার ওকে খুন করে ফেলা হবে।
এদিকে এ ঘটনা সম্পর্কে থানায় দেওয়া অভিযোগ অনুযায়ী সাব ইন্সপেক্টর হানিফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জোহরাকে দেখে আসেন এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। এরপর দুই দফা তার সঙ্গে দেখা করলে তিনি আমানুল্লাহ গাজীকে প্রথমে বলেন, ১০ হাজার টাকা নিয়ে আসলে মামলা রেকর্ড হবে। দ্বিতীয় দফায় তিনি বলেন, ৮ হাজার টাকা নিয়ে এসো, মামলা রেকর্ড হবে এবং ইয়ারুলকে ধরে আনবো।
আমানুল্লাহ গাজী জানান, তাদের এতো টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই জানিয়ে তারা বাড়ি ফিরে যান। এ বিষয়ে তারা সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এসআই হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, আমি তাদের কাছে কোনো টাকা চাইনি। বলেছি ওসি সাহেব মিটিংয়ে আছেন। তিনি থানায় ফিরলে আলোচনা করে মামলার বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে।
Leave a Reply