আমি কোন ক্লাসে কখনো দ্বিতীয় হয়নি, আমার প্রাপ্তির ঝুঁলিতে আছে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীর স্কলারশীপ, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত গোল্ডেন এ প্লাস সহ বোর্ড বৃত্তি। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে গোটাকয়েক বৃত্তি। আর এসবের পেছনে তার অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতার কমতি ছিল না।
আমি ১৯৭৫ সালে যখন আলিপুর প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা জীবন শুরু করি তখন ওই স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো খুবই কম। এর কারণ অনুসন্ধান করতে অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম ওই এলাকার বেশিরভাগ পরিবারই নিন্মবিত্ত। সংসার খরচ চালিয়ে সন্তানদের লেখাপড়া শেখানো তাদের পক্ষে সম্ভব না। বরং সন্তানরা যদি তাদের কাজে সহযোগিতা করে তাহলে তারা কিছু বাড়তি টাকা রোজগার করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে আমি তাদের বারবার বুঝিয়ে বেশ কিছু ছেলে-মেয়েদের স্কুলমুখী করতে সক্ষম হই। এরপরও যারা স্কুলে আসতে পারেনি আমি তাদের স্কুল টাইমের পরে স্কুলের পড়াগুলো করাতে থাকি। এভাবে একসময় আমি আলিপুরের প্রত্যেকটি মানুষের প্রিয় শিক্ষকে পরিণত হই। আলিপুর স্কুলের ষষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে যোগদান করায় সবাই আমাকে সিক্স স্যার বলে ডাকতো। এখনো ওই এলাকার সবাই সিক্স স্যার নামেই আমাকে চেনে।
Leave a Reply