শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

প্রেমিকার জায়গা সেক্স রোবটের দখলে যাওয়ার শঙ্কা

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
  • ৬১২
প্রেমিকার জায়গা সেক্স রোবটের দখলে যাওয়ার শঙ্কা

বিজ্ঞানের কল্যাণে মানুষের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে। তার পরেও প্রযুক্তির নেতিবাচক দিকগুলো কিন্তু কম চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে না। বেশ কয়েক বছর আগেও সেক্স রোবট ছিল নিশ্চল। কিন্তু প্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সেক্স রোবট বাজারে এসেছে।

এসব রোবট যেমন আবেদনময়ী, তেমনি মানুষের মতোই আচরণ করতে পারে। তারা কথা বলতে পারে এবং বিশেষ করে যৌনসঙ্গী হিসেবে কাজ করে। আর সেটা নিয়েই বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন এসব সেক্স রোবট মানুষের মনে এবং সমাজে মানবিক যৌনতার ব্যাপারে একেবারে উল্টো ধারণা গড়ে দিতে পারে। যা সমাজের টিকে থাকার প্রশ্নে বেশ উদ্বেগের।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এসব রোবটকে মানুষের প্রেমিকার সমকক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। যা একেবারেই খারাপ চিন্তা। যারা এ ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সেক্স রোবট তৈরি করে বাজারজাত করছে, তাদের আরো অনেকটা দায়িত্বশীল হওয়া দরকার এবং নৈতিকতার দিকটি বিবেচনায় রাখা উচিত। সেই সঙ্গে কিছু নিয়ম নীতি না থাকলে বড় ধরনের বিপর্যয়ের শঙ্কার কথাও বলছেন তারা।

নর্থ ক্যারোলিনার ডিউক ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. ক্রিস্টিন হেনড্রেন বলেন, জাপানের সেক্স রোবট প্রস্তুতকারকদের একজন স্বীকার করেছেন, এসব রোবটের কারণে তিনি সন্তানের ব্যাপারে আগ্রহী নন। এ ধরনের চিন্তা বাড়তে থাকলে সমাজ বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যেতে থাকবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ধরনের পণ্য বাজারে ছড়িয়ে পড়লে এবং মানুষ তাদের দ্বারা যৌন চাহিদা পূরণ করতে থাকলে একপর্যায়ে অন্য অনেক সম্পর্কের ক্ষেত্রে রোবটকে মানুষের সমকক্ষ হিসেবে ভাবার শঙ্কা রয়েছে।

ইংল্যান্ডের গবেষক ক্যাথলিন রিচার্ডসন বলেন, আন্তরিকতা, পারস্পরিক সম্পর্ক, বিশ্বাস এবং আইনের মাধ্যমে দু’জনের দাম্পত্য জীবন শুরু হয়। কিন্তু কোনো যন্ত্র তো এসব ধাপ পার করে সম্পর্কে জড়ায় না।

তিনি আরো বলেন, যারা চাইলেই রোবটের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়াতে পারেন। তাদের কাছে নারীরা কেবল ওইসব রোবটের সমকক্ষ। সে ক্ষেত্রে নারীদের কেবল যৌনসঙ্গী হিসেবে ভাবার শঙ্কা রয়েছে। আর এরকম চিন্তা বাড়তে থাকলে সমাজ এগিয়ে যাবে ধ্বংসের দিকে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT