বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে (২১) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ৯জনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, আটকদের সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
সোমবার (০৭ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিন দফায় তাদের আটক করা হয়েছে।
আটকদের মধ্যে ছয়জনের নাম জানা গেছে তারা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুস্তাকিম ফুয়াদ, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার ও ছাত্রলীগকর্মী বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র তানভীরুল আবেদীন ইথান ও জিসান।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, বুয়েট শিক্ষার্থী ফাহাদ হত্যার ঘটনায় মোট ছয়জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, বুয়েট শিক্ষার্থী ফাহাদ হত্যার ঘটনায় মোট নয়জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া সিসিটিভির ফুটেজ দেখে জড়িত এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় ফাহাদের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।
রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। নিহত ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শের-ই বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই মোড়ে। স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আবরার ফাহাদের পুরো পরিবার। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের বাসার পাশেই তাদের বাড়ি। তাদের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে।
Leave a Reply