বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অমিত সাহা। ফাহাদকে হত্যার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে থাকলেও মামলায় তাকে আসামি করা হয়নি। তিনি এখন কোথায়, তা বলতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ। অথচ আবরারকে তার কক্ষেই হত্যা করা হয়। বুয়েটের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে অমিত সাহা প্রত্যক্ষ্যভাবে জড়িত।
চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাব হোসেন বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে যাদের শনাক্ত করা হয়েছে কেবল তাদের নামেই মামলা হয়েছে। এরপরও তদন্ত হবে। তদন্তে যদি অমিতের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়, অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
তার কক্ষে তো আবরারকে হত্যা করা হয়েছে, এক্ষেত্রে কি তার আসামির হওয়ার কথা না? এ প্রশ্নের জবাবে সোহরাব হোসেন বলেন, বললাম তো, তদন্তে প্রমাণ পেলে তাকেও আসামি করা হবে। তাকে বাঁচাতে পুলিশের কোনো পরিকল্পনা নেই।
বুয়েটের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, অমিত সাহার নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল ২০১১ নম্বর কক্ষটি। ঘটনার সময় তার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কর্মীরা আবরারকে বেদম মারধর করেন। পরে তিনিসহ অন্যরা বেরিয়ে যান। ওই কক্ষ থেকে পুলিশ রক্তমাখা স্টিক, ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে। এই রুমে শুধু আবরারকেই নয়, আরো অনেককেই এনে নির্যাতন করা হতো। যার কক্ষে এ ঘটনা ঘটলো তাকে আসামি না করা অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
আমরা ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্তে যাকে পাব তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে কে কোন দল বা কোন ধর্মের তা বিবেচ্য বিষয় নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।
বিশ্ববিদ্যালয়-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেসের (ইসকন) সদস্য অমিত সাহা। ইসকনের ব্যানারে তিনি বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিতেন। তবে ঘটনার পর থেকে তার ফেসবুক ডিঅ্যাকটিভ আছে। তার মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে, চকবাজার থানায় আবরারের বাবা ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আসামিরা বুয়েট ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এদের সবাই আবরার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তবে মামলায় অমিতের কক্ষের বর্ণনা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তার নাম নেই।
Leave a Reply