ফের বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ-মিয়ানমার

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৯
  • ১৯৫

চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আবারও মিয়ানমারের সঙ্গে বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ। এ বৈঠকের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে থাকবে চীন।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রোহিঙ্গা ইস্যুর সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিকদের ব্রিফ করার পর সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ব্রিফিং শুরু হয়।

ড. মোমেন বলেন, ‘বৈঠকের দিন-তারিখ ঠিক হয়নি। চীনের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। তারা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ করে আমাদের জানাবেন।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীন বলেছে, রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে বাংলাদেশের পাশে আছে। মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ উভয় দেশই আমাদের বন্ধু। এ সমস্যা দূর করতে একযোগে কাজ করব। চীনের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনায় প্রয়োজন হলে চীনকে সঙ্গে রাখেন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা ব্রিফিংয়ে অংশ নেন।

বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার তাদের দায়িত্ব পালন করেনি উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার গত ২২ আগস্ট এক প্রেস রিলিজ দেয়। সেখানে আমাদের ওপর দায় চাপিয়ে বলেছে, বাংলাদেশ প্রত্যাবাসন শুরু করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা আয়োজন সম্পূর্ণ করতে পারেনি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বললাম, বাংলাদেশের যা যা করার সবই করেছে। এটা মিয়ানমারের দায়িত্ব তাদের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরতে রাজি করানো। এটা বাংলাদেশের দায়িত্ব না। মিয়ানমার তাদের দায়িত্ব পালন করেনি বলে রোহিঙ্গারা যায়নি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব লজিস্টিক জোগাড় করা। তার সবই আমরা করেছি। তারা আমাদের ৩ হাজার ৪৫০ জনের একটা লিস্ট দিয়েছিল। আমরা সঙ্গে সঙ্গে সেটা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরকে দিয়েছি তাদের মতামত জানার জন্য। সেখানে মিয়ানমার ও চীনের প্রতিনিধিরা পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। তারাও দেখেছিল। আমাদের যত ব্যবস্থ খুবই স্বচ্ছ। আমরা বলেছি, আপানারা সবকিছু দেখতে পারেন। যেকোনো বিদেশি-স্বদেশি এটা দেখতে পারেন। আমাদের কোনো কিছু লুকানোর নেই।’

গত ২ বছরে তিনবার চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT