শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

ফেসবুকে ক্ষতিকর উপাদানে লাইক দেয়াও অপরাধ : মনিরুল

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
  • ১২২
ফেসবুকে ক্ষতিকর উপাদানে লাইক দেয়াও অপরাধ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফেক আইডি খোলা অপরাধ। এছাড়া ক্ষতিকারক উপাদান (মন্তব্য, সংবাদ, ছবি, ভিডিও, অডিও) প্রকাশ করা এবং এতে মন্তব্য, শেয়ার কিংবা লাইক দেয়াও অপরাধ। এসব করলে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন অনুযায়ী শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে ‘নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস ২০২০’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল বিভাগের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘দেশে যেসব কনটেন্টকে (সংবাদ, মন্তব্য, ভিডিও, অডিও) ক্ষতিকারক বলি, সেগুলোকে তিনটা ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যায়। পর্নোগ্রাফি, রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ে অসত্য সংবাদ, গুজব, ঘৃণা ছড়ানো এবং জঙ্গি উপাদান। এ তিন ধরনের কনটেন্টে লাইক দেয়া, শেয়ার করা, মন্তব্য করা কিংবা এ সংক্রান্ত স্ট্যাটাস আপলোড করা অপরাধ।’

পর্নোগ্রাফি আইন ও ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অধিকাংশ অপরাধই অজামিনযোগ্য। এসব ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে মামলা নিয়ে গ্রেফতারের সুযোগ রয়েছে পরোয়ানা ছাড়াই।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ফেসবুকে ফেক আইডি খোলা, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন অনুযায়ী অপরাধ। শুধু ফেক আইডি খোলার অপরাধেই কাউকে সাজার আওতায় আনা সম্ভব। আমরা যখন চিহ্নিত করতে পারি এটা ফেক আইডি কিংবা এখান থেকে ক্ষতিকর জিনিস ছড়ানো হচ্ছে- তখন ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করি।’

সরকারের কাছে ক্ষতিকারক মনে হলেও (ফেসবুকের) কমিউনিটির স্ট্যান্ডার্ডের স্বার্থের কারণে ফেসবুকের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সেবা পাওয়া যায় না বলেও অভিযোগ করেন মনিরুল ইসলাম।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ‘দেশের আইনে কেউ সিমকার্ড কিনতে গেলে এনআইডি দিতে হয়। অর্থাৎ ১৮ বছরের নিচের কেউ সিমকার্ডের মালিক হতে পারে না। কিন্তু ফেসবুকের নীতি অনুযায়ী, কেউ ১৩ বছরের উপরে হলেই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে।’

সরকারের পক্ষ থেকে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ১৮ বছরের বাধ্যবাধকতা ও এনআইডি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দেন জুনায়েদ আহমেদ পলক। তবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ফেসবুকের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার হেড অব পলিসি প্রোগ্রামস শেলি থাকরাল এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।

এ সময় ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি তোমো হোজুমি বলেন, ‘সাইবার প্রযুক্তির ঝুঁকি ও সম্ভাবনা বিবেচনা করা এবং ঝুঁকি কমিয়ে আনতে সম্মিলিত প্রজ্ঞা ও শক্তি ব্যবহারের সময় এসেছে। শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ করা কোনো সমাধান হতে পারে না। কারণ এটি একই সঙ্গে বিশাল জ্ঞান ও তথ্যের উৎস হিসেবে কাজ করে, যা আজকের এই বিশ্বে শিশুদের জন্য প্রয়োজন।’

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT