বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীর অবস্থা জানিয়ে কোন তথ্য প্রকাশ না করার বিষয়ে সেদেশটির অভিবাসন, শরনার্থী ও নাগরিকত্ব বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দায়ের করা মামলার পক্ষে গত মঙ্গলবার রায় দিয়েছে কানাডার একটি ফেডারেল আদালত।
কানাডার ওন্টারিও’র অটোয়ার ফেডারেল আদালতের বিচারক জেমস ডব্লিউ ও’রেইলি বলেন, ‘এই আদালতের রায় হলো এই যে, বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার আবেদনটি গ্রহণ করা হলো। নূর চৌধুরীর অভিবাসন সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশে জনস্বার্থের ব্যাঘাত ঘটবে না।’
মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ সরকার কানাডায় নূর চৌধুরীর অবস্থা সম্পর্কে জানতে ২০১০ সাল থেকে সেদেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করছে এবং তার প্রি-রিমুভাল রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট (পিআরআরএ) আবেদন নিয়ে বিলম্বের জন্য উদ্বেগ জানিয়ে আসছে। এদিকে তাকে ফেরানোর চেষ্টায় থাকা বাংলাদেশ হাই কমিশনার ২০১৮ সালে কানাডার এটর্নি জেনারেলের দপ্তরে একটি চিঠি দিয়ে জানতে চায় নূর চৌধুরী কানাডায় কিভাবে আছেন। তার প্রি-রিমুভাল রিস্ক অ্যাসেসমেন্টের আবেদন কোন পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু সেদেশটির আইনে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত কাউকে প্রত্যার্পণে বাধা থাকায় সে দেশের সরকার জনস্বার্থ রক্ষার যুক্তি দিয়ে তথ্য প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল।
বাংলাদেশ হাই কমিশনার কানাডার সঙ্গে সীমিত পর্যায়ের তথ্য আদান-প্রদান করতে একটি চুক্তি করতে চেয়েছিল, কিন্তু সেটাও তারা না করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। কানাডা তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত বছর জুন মাসে জুডিশিয়াল রিভিউয়ের আবেদন করে বাংলাদেশ। গত মার্চ মাসে এ বিষয়ে শুনানির পর মঙ্গলবার বাংলাদেশের আবেদন মঞ্জুর করে রায় দেয় সেদেশটির আদালত।
Leave a Reply