শিরোনাম :
সাতক্ষীরায় বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ সাবেক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগে জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ২৬ দিনে এলো প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে আদালতের রায় ঈদের ছুটি দীর্ঘ হলেও অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসবে না: অর্থ উপদেষ্টা বিকাশ-নগদ-রকেটে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনে ভেটো দিয়েছে ১২ দলীয় জোট ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে হামজা বললেন, ‘জুনে আবার দেখা হবে’ পর্যটক বরণে প্রস্তুত সাজেকসহ রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্রগুলো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করার অভিযোগ সত্য নয়’

বাংলাদেশিদের সাত হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিল মালয়েশিয়া!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
  • ২৩২
বাংলাদেশিদের সাত হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিল মালয়েশিয়া

বিশ্বময় সুষ্ঠু, নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসন ব্যবস্থার কথা বলা হলেও নানাভাবে চলছে শোষণ-নির্যাতন। শুধু মালয়েশিয়ায় ৬ লাখেরও বেশি অভিবাসী প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। দেশটির প্রবাসীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা।

হাতিয়ে নেয়া মোটা অংকের টাকা উদ্ধারে আন্দোলন শুরু করেছে মালয়েশিয়ার মানবপাচারবিরোধী কাউন্সিল। ১৪ ফেব্রুয়ারি দেশটির কিনিতে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার তৎকালীন সরকার রি-হিয়ারিং প্রোগ্রামের নামে অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে ২ বিলিয়ন রিঙ্গিত, বাংলাদেশি টাকায় ৪ হাজার কোটি টাকা তিনটি ভেন্ডর কোম্পানি হাতিয়ে নিলেও অবৈধ কর্মীদের বৈধতা দিতে পারেনি তারা।

উল্টো কর্মীদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে নিয়োগপ্রাপ্ত তিনটি (ভেন্ডর) সংস্থার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ প্রতিবেদন দায়ের করেছে মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গুরের মানবপাচারবিরোধী কাউন্সিল। যা অনিবন্ধিত অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচি করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গুরের মানবপাচারবিরোধী কাউন্সিল অবৈধ কর্মীদের টাকা পুনরুদ্ধারে ওই তিনটি ভেন্ডরের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

 

সেলাঙ্গর মানবপাচারবিরোধী কাউন্সিলের সদস্য আবদুল আজিজ ইসমাইল, পুলিশি তদন্ত পূর্বক অবৈধ বিদেশি কর্মীদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থ উদ্ধারের আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে গত বছরের (১৭ ডিসেম্বর) ফ্রি-মালয়েশিয়া টুডে দেশটির একটি বেসরকারি সংস্থার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈধতা না পাওয়া অভিবাসীদের কাছ থেকে নেয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা।

২০১৬ সালে ‘রিহায়ারিং প্রোগ্রাম’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নেয় মালয়েশিয়া সরকার। প্রকল্পটি শেষ হয় ২০১৮ সালে। তিনটি ভেন্ডরের মাধ্যমে প্রকল্পটি পরিচালনা করে দেশটির কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা। তারা জনপ্রতি অভিবাসীর কাছ থেকে ৬ হাজার রিঙ্গিত (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার) জমা নেয়।

ওই প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৪ হাজার অভিবাসীদের কাছ থেকে টাকা জমা নেয়া হলেও ওয়ার্ক পারমিট দেয়া হয়েছে মাত্র ১ লাখ ১০ হাজার অভিবাসীকে। মালয়েশিয়ায় অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারি সংস্থার প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাকি ৬ লাখ ৩৪ হাজার অভিবাসীকে ওয়ার্ক পারমিট দেয়া হয়নি। এমনকি পরবর্তীতে তাদের টাকাও ফেরত না দিয়ে গত বছর অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

বেসরকারি ওই সংস্থার পরিচালক জোসেফ পল মালাইমফ বলেন, ‘টাকা দিয়েও এসব অভিবাসী বৈধতা পাওয়া তো দূরের কথা, তারা তাদের পাসপোর্টও হারিয়েছেন। টাকা আর পাসপোর্ট দুটোই ভেন্ডররা হজম করেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে সরকার কোনো দায় নিতে চায় না। আবার ভেন্ডররাও সরকারের ওপর দায় চাপিয়ে দিচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১
Design and Developed by IT Craft in association with INTENT