শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরপরই কিছু বাংলাদেশি ভাঙচুরে লিপ্ত হয়। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সদস্য ও তাদের সম্পত্তির ওপর হামলা চালানো হয়েছে। যদিও ছাত্র এবং বিরোধী নেতারা শান্ত থাকার আহ্বান জানান এবং তাদের কর্মীরা সংখ্যালঘু হিন্দু ধর্মীয় স্থানগুলোকে রক্ষার চেষ্টা করেছেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে এবং শেখ হাসিনার সমর্থকদের বিরুদ্ধে সহিংস প্রতিশোধমূলক বা অন্য কোনও অনাচার প্রতিরোধ করতে হবে।
বুধবার (৭ আগস্ট) এক বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এ আহ্বান জানান। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গঠিত হতে যাওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের ‘ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা, গণতান্ত্রিক উত্তরণকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিৎ’ বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই মানবাধিকার সংস্থা।
বিবৃতিতে সংস্থাটির এশিয়ার ডেপুটি ডিরেক্টর মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, প্রায় ১৫ বছরের ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ববাদের পর শেখ হাসিনার পদত্যাগ বাংলাদেশে ‘জবাবদিহিতা ও গণতান্ত্রিক সংস্কারের’ আশার সঞ্চার করেছে।
তারা বলছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শাসনের বৈশিষ্ট্য ছিল বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন এবং জোরপূর্বক গুমের মতো গুরুতর নিরাপত্তা বাহিনীর অপব্যবহারের পাশাপাশি দায়মুক্তির সংস্কৃতি। যারা কথা বলার সাহস করেছিল, তারা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিল। ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে স্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে মিলে আইনের শাসন পুনর্গঠিত করার এই সুযোগটিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজে লাগাতে হবে।
‘বলপূর্বক গুমের শিকার’ মীর আহমাদ বিন কাসেম এবং আবদুল্লাহিল আমান আজমির মুক্তিকেও বিবৃতিতে ‘ইতিবাচক পদক্ষেপে’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
Leave a Reply