বাংলাদেশ একটি প্রতারণার ও লুটপাটের স্বর্গরাজ্য মন্তব্য করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘করোনার প্রতিষেধক ভ্যাকসিন ইউরোপে যেখানে ২ ডলার, আমাদের এখানে সাড়ে ৪ ডালার বা ৫ ডলার। ভ্যাকসিন উৎপাদনে ব্যয় খুব কম। যদি এক ডলার দাম হয় তাহলে ৪০ টাকা লাভ হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের যদি ভ্যাকসিনের দাম দুই ডলারা হয় তাহলে আমাদের এখানে ৫ ডলার কেন? কারণ আমরা চুরি করি, দুর্নীতি করি, সেই কারণে ভ্যাকসিনের দাম বাড়ছে।’

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর তোপখানায় শিশুকল্যান মিলনায়তনে এক কনভেনশন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ লেবার পার্টির উদ্যোগে ৭ জানুয়ারী ফেলানী হত্যা দিবসে সীমান্ত আগ্রাসন বিরোধী কনভেনশনের আয়োজন করা হয়।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে দখল করা ছাড়াই ভারতের সিকিম রাজ্যে পরিণত হবে। আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত করা ছাড়া মুক্তির উপায় নাই। বাংলাদেশের গণতন্ত্র না আসার একমাত্র কারণ আওয়ামী লীগ নয় বিরোধী দলও সমভাবে দায়ী।

তিনি বলেন, ফেলানী হত্যা দিবস আমাদের নিজেদের স্বার্থে দুটি কাজ করতে হবে। দুইটা ভাস্কর্য করতে হবে। একটা কুড়িগ্রামের সীমান্তে, যেখানে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আর একটা বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের সামনের রাস্তায়। এটার উদ্বোধন করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ডাকতে হবে। তাহলে বোঝা যাবে ওনার (শেখ হাসিনার) দেশের প্রতি কতটা দরদ আছে। বোঝা যাবে উনি কি সত্যিকার অর্থে শেখ মুজিবুর রহমানের স্পিডের কন্যা নাকি ভারত সরকারের পুতুল কন্যা। আর ভারতীয় দূতাবাসের সামনে রাস্তার নাম হওয়া উচিত ফেলানী।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমরা কথায় কথায় বলি এটা মুসলমানদের দেশ। আলেম সমাজের প্রতি আমার একটাই অনুরোধ। তারা গান-বাজনা শুনলে বিয়ে পড়াবেন না, জানাজা পড়াবেন না। এইসব দিকে সময় ব্যয় না করে জনগণের অধিকার আন্দোলনের জন্য সোচ্চার হোন।

তিনি বলেন, ‘আজ সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে কেনো আমি ভোট দেবো? কেন আমার ভোট চাই? এই দেশের মালিক আমরা। আমরা সবাই মিলে এই দেশের মালিক। তাই যদি হয় তাহলে দেশের পরিচালনায়, শাসনে আমাদের বক্তব্য রাখার অধিকার থাকতে হবে। সমালোচনা করার অধিকার থাকতে হবে। জবাবদিহি করার অধিকার থাকতে হবে।

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান এর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, এনডিএম এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ও গণস্বাস্থ্যের মিডিয়া উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।